নিউজ ডেস্ক,৩ ফেব্রুয়ারিঃকোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের টাকাগছ রাজারহাট গ্রামপঞ্চায়েতের টেঙ্গনমাড়ি দিগলতরী গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রয়েছেন। এলাকায় পাকা রাস্তা নেই সাথে পানীয় জলের সমস্যা । কাঁচা রাস্তাগুলি একটিও এখনও পাকা হয়নি। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সমস্যার বিষয়টি বারবার পঞ্চায়েতকে জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। এলাকার বাসিন্দা শিখা দত্ত জানিয়েছেন, বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা জল জমে কাদা হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অবিলম্বে রাস্তা নির্মান না হলে সমস্ত ভোট বয়কট করবেন।
৩১ নাম্বার জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের জলের ট্যাঙ্ক পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা রয়েছে । এলাকার মানুষ পাকা রাস্তার দাবী জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে তবে কোনও কাজ হচ্ছে না । এমনকি গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপকল থাকলেও পানীয় জল আসে না। অনেকেই আয়রন ও আর্সেনিকযুক্ত সাধারণ টিউবওয়েলের জল এবং কেউ কেউ আবার কিনেও জল খাচ্ছেন । আরো অভিযোগ এলাকায় রয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য তাই কোন উন্নয়ন হচ্ছে না । সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত কাঁচা রাস্তা পাকা না করা হলে ভোট বয়কট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই গ্রামের মানুষ।স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির প্রনবেশ দে অভিযোগ করে বলেন, টাকাগছ রাজারহাট গ্রামপঞ্চায়েত তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে। এই এলাকা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য থাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ হয়না। সার্বিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এই বুথকে।
এই বিষয়ে টাকাগছ রাজারহাট গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মিনা সিনহা জানিয়েছেন এইসব বক্তব্য ভিত্তিহীন। মূলত এই গ্রামপঞ্চায়েতে ২১ জন সদস্য রয়েছেন তারা সকলেই সমানভাবে কাজ পেয়ে থাকেন। টাকা এলেই প্রয়োজন অনুসারে যে রকম নালা, রাস্তা , অন্যান্য ক্ষেত্রে সেটা যেখানে জরুরি বেশি সেই হিসেবে কাজ করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে দুলাখ ও ৩ লাখ টাকা করে আসে সেসব ক্ষেত্রে বড় কাজ করতে খুব সমস্যা হয়। পানীয় জল নিয়ে পি এইচ ই দপ্তরের সাথে কথা বলা হয়েছে এবং পানীয় জলের দ্রুততার সাথে যেন তারা পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় এখনও জলবাহিত পাইপ বসেনি সেগুলো ইঞ্জিনিয়াররা দেখে নিয়ে পাইপ বসানোর ব্যবস্থা করছেন। সব বিষয়েই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এসব ক্ষেত্রে যারা ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে দিয়েছেন সেব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।