ডালখোলা, ৫ ডিসেম্বর : জল এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছেন হরিয়ানার হিসার জেলার বাসিন্দা তথা কৃষি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুভাষ চন্দ্র। হরিয়ানা থেকে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, নেপাল, বিহার হয়ে রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ডালখোলায় প্রবেশ করেন তিনি।
সুদীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে তার সঙ্গী একটি সাইকেল। তার বক্তব্য, জল ও পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা নিয়ে বিগত ছয় মাস আগে হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে রওনা হন তিনি। ইতিমধ্যেই সুভাষ চন্দ্রের সাইকেল ৭৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। যাত্রাপথে ১২০০ শহর ও গ্রামের বাসিন্দা মিলিয়ে ৫৬০০ এর বেশি মানুষকে জল ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য করণীয় বিষয়গুলি জানিয়েছেন তিনি। তার যাত্রাপথে বেশ কয়েকটি রাজ্যের জেলাগুলিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাকে।পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাদের সাথে কথাও বলেছেন হরিয়ানার অবসারপ্রাপ্ত কৃষি বিভাগের ওই কর্মী। সুভাষ বাবু বলেন আমরা যে ভাবে জলের অপব্যবহার করছি, জেনে না জেনে জলকে যে ভাবে দূষিত করে ফেলছি। তাতে করে আগামীদিনে জল কষ্ঠের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগভোগে ভুগতে হবে আমাদেরকেই। তাই জল সংরক্ষণ ও জল দূষণ রোধে অবিলম্বে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অবসরের আগে থেকেই নিজ উদ্যোগে জল ও পরিবেশ দূষণ রুখতে সাইকেল করে বিভিন্ন গ্রাম শহর ঘুরে ঘুরে জনগণকে সচেতন করার কাজ করে আসছেন। অবসর গ্রহণ করতেই তিনি তার পথের একমাত্র সাথী সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। তিনি ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ এই তিন রাজ্য ছাড়াও প্রতিবেশ দেশ নেপালেও গিয়েছেন বলে জানা যায়। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন বিগত কয়েকমাস থেকে। এই সময় কালে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন মানুষদের কাছে। রাত্রি যাপন করছেন কখনো স্থানীয় মানুষদের বাড়িতে আবার কখনো হোটেলে। রবিবার সকালে ডালখোলায় আসার পর তাকে সংবর্ধনা জানান ডালখোলা পৌরসভার পৌর প্রশাসক তনয় দে। এদিন পৌর প্রশাসক তনয় দে সুভাষ বাবুর দুপুরের খাওয়ারের ব্যবস্থা করেন। এরপর কলকাতা হয়ে উড়িষ্যায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুভাষবাবু। তার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষেরাও।