নিউজ ডেস্ক , ১৪ই জানুয়ারী :আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য! এখন আর তা দেখা মেলা ভার। গ্রাম বা শহরে এখন ঘুড়ি ওড়ানো খেলা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। শিশুরা বড় হচ্ছে খাঁচার মধ্যে। ঘরে বসে শহর কিংবা গ্রামগঞ্জের শিশুরা এখন মোবাইল ফোন, কম্পিউটারে ভিডিও গেম খেলে সময় কাটায়। যারা মাঠে যায়; তারা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। তবে ঘুড়ি ওড়ানো খেলা একেবারে হারিয়ে গেছে। একসময় এই বাংলার ছেলেপুলেরা প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতো। শরৎ, হেমন্তের বিকেলের আকাশ ছেয়ে যেত ঘুড়িতে। আকাশজুড়ে উড়ে বেড়াত নানা রঙের ঘুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি কত রঙের ঘুড়িতে আকাশ ছেয়ে যেত! দেখে মনে হতো, নানা রঙের মেলা বসেছে আকাশজুড়ে। কোনো ঘুড়ি কাটা গেলে মনে হতো রঙের মেলা থেকে যেন একটি রং খসে পড়ল। একসময় ঘুড়ি ওড়ানো আর ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতার রেওয়াজ ছিল। যা এখন প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে এখনো কোথাও কোথাও ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব হয়ে থাকে। আর রবিবার পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঘুড়ি বিক্রির আশায় নানান ঘুড়ির পসরা সাজিয়ে রয়েছেন রায়গঞ্জ শহরের ঘুড়ি বিক্রেতারা। কিন্তু বিক্রি কোথায়! সুকুমার দত্ত নামে এক ঘুড়ি নির্মাতা জানিয়েছেন, অনেকদিন থেকেই ঘুড়ি তৈরি করে বিক্রি করছি। আগে ভালোই ঘুড়ি বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন আর ঘুড়ি বিক্রি হয়না। এর অন্যতম কারন মুঠো ফোন। ছোট ছেলেরাও আজ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। তাদের আর ঘুড়ি ওড়ানোর শখ নেই। ফলে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে ঘুড়ি বিক্রি।বিপ্লব মন্ডল নামে রায়গঞ্জের এক বাসিন্দা আক্ষেপের সুরে বলেন, একটা সময় ছিল যখন স্কুল থেকে এসেই ঘুড়ি হাতে ছুটে যেতাম মাঠে। আকাশে কত রকমের রঙিন ঘুড়ির মেলা দেখা যেত। সুতো মাঞ্জা করা, কাগজ দিয়ে ঘুড়ি বানানো কত ব্যস্ততাই ছিল। এই সবকিছু আনন্দই কেড়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন।রবিবার পৌষ সংক্রান্তি। নিয়ম অনুযায়ী এদিন আকাশে ওড়ানো হয় ঘুড়ি। এবার কি নীল আকাশের বুকে দেখা মিলবে রঙিন সুদৃশ্য ঘুড়ির নাকি মানুষ মোবাইলের স্ক্রিনেই দেখে নেবে আকাশে ঘুড়ির লড়াই!
মকর সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি উৎসব
