নিউজ ডেস্ক , ১৪ জানুয়ারী : মকর সংক্রান্তি উৎসবে মেতে উঠেছে বঙ্গবাসী। কথায় বলে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্ব্বন। আর বাঙালি মানেই এককথায় ভোজন রসিক। তাই মকর সংক্রান্তি উৎসব ঘিরে রসনাতৃপ্তিতে মনসংযোগ করে আট থেকে আশি সকলেই।
বাংলা বছরের পৌষ মাসের শেষ দিনে এই উৎসব হয় বলে একে পৌষ সংক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে। এই দিনে বাঙালির ঘরে ঘরে স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হরেক রকমের পিঠে-পুলি তৈরী হয়। তবে একসময় এই পিঠে-পুলির উৎসবে যে জাঁকজমকতা লক্ষ্য করা যেত এখন আর তা চোখে পরেনা। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই রেডিমেড নির্ভর। একসময় ঢেঁকিতে পা চালিয়ে দিনভর তৈরী হল চালের গুড়ো। আজ তা দোকানে প্যাকেটে বিক্রি হয়। শুধু কি চালের গুড়ো? কর্মব্যস্ত জীবনে এখন বাড়িতে নম নম করে পিঠে বানিয়ে আমরা সকলেই রেডিমেড পিঠে কিনতে বাজারে ছুটি। কিন্তু তবুও রক্তে রয়েছেবাঙালিয়ানা তাই পৌষ সংক্রান্তির নিয়ম রক্ষা তো করতেই হবে। সেই নিরিখে শনিবার দুপুর থেকে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন দোকান গুলিতে পিঠে পুলি তৈরীর উপযোগী সরঞ্জাম কিনতে ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের।
মোহনবাটি বাজার সহ সর্বত্রই ছবিটা একই রকম। চালের গুড়ো, তিলের খাঁজা, মোয়া, নারকেল, নলেন গুড়, চিনি সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন সকলেই। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যে থাকলেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে মধ্যবিত্তের হাতে টান। তাই আগের মত বিক্রি নেই। তবুও যা আসে তাতেই লাভ। এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিক্রেতাদের। সাধারন ক্রেতারা অবশ্য এই পিঠে-পুলির অনুষ্ঠান ঘিরে বেশ উৎসাহিত। বছরের একটা দিন এমন রসনাতৃপ্তির অনুভূতি মেলে। তাই দাম যাই হোক জিনিস কিনতে বাজার মুখো তারা। সবমিলিয়ে সরা পিঠে থেকে মাল পোয়া, দুধ পুলি থেকে নলেন গুড়ের ঘন পায়েস ডায়েট ভুলে আজ ষোলায়ানা বাঙালিয়ানায় মজবে খাদ্যরসিক মানুষজন।