নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ১৮ মার্চ : প্রসূতি বিভাগ থেকে সদ্যোজাত শিশু উধাও করে দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার এঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার রায়গঞ্জের এলেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সেলিনা খাতুন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।বৃহস্পতিবার ভোরে তার একটি পুত্র সন্তান প্রসব হয় বলে দাবি করেছেন পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা ভোররাতে সন্তান প্রসব করানোর পর সেই সদ্যজাতকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। বরং সেলিনা খাতুনকে নাকি বলা হয় তাঁর কোনো সন্তানই প্রসব হয় নি। তার কারন ওই মহিলা কাউকে তার শারিরীক পরীক্ষাই করতে দেয় নি,এমনটাই দাবি চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালে নার্স ও আয়া সুকলেরই। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সেলিনা খাতুনের পরিবারের লোকেরা এসে চিকিৎসকে ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পরে কি করে এই শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে উধাও করে দেওয়া হল তা বোঝা যাচ্ছে না। অবিলম্বে সদ্যোজাত শিশুকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা।অন্যদিকে,
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে চিকিৎসকদের গন্ডগোল হয়েছে,তা জানতে পেরেছি। এ নিয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে সদ্যোজাত শিশু হাসপাতাল থেকে উধাও হওয়ার ঘটনার কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।