নিউজ ডেস্ক : বাইরে নীল-সাদা,ঝা চকচকে রংয়ের প্রলেপ, নতুন বিল্ডিং। কিন্তু অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন একাধিক রোগী। এমনই ছবি উঠে এলো মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শনিবার রাতে আচমকাই পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালে এসে হতবাক জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। উল্লেখ্য চাঁচল মহকুমার ছয়টি ব্লকের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একমাত্র ভরসা এই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এই হাসপাতালে হরিশ্চন্দ্রপুর,চাঁচল, মালতীপুর, রতুয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি ব্লকের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন ১০০ দিনের মামলায় অর্থ ফেরতের নির্দেশ আদালতের
রোগীদের ভিড়ে থিকথিক করছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে লম্বা লাইন, বারান্দা ছাড়িয়ে শৌচালয়ের দরজায় এসে থেমেছে রোগীদের লাইন। হাসপাতালের নানা ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝেতেই শুয়ে আছে একাধিক রোগী। কেউ একদিন, কেউ দুদিন কেউ আবার টানা তিন দিন ধরে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।শুধু তাই নয়, হাসপাতালে শৌচালয়ের অবস্থা বেহাল দশা। দুর্গন্ধে টেকা দায়।কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়মিত তা পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের।হাসপাতালের সামগ্রিক পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের দাবী জানিয়েছেন তারা
আরও পড়ুন পাচারের আগেই শিলিগুড়ি মোড়ে উদ্ধার কচ্ছপ, ধৃত ২
অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যায় আচমকাই চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে পা দিতেই বিস্মিত হয়ে যান তিনি। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রোগীদের চিকিৎসা নিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।তার সঙ্গে থাকা হাসপাতালের সুপার সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি সহ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া।