নিউজ ডেস্ক : আর্থিক অনটনের কাছে বৃষ্টি তাদের কোনও বাঁধাই নয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে দিনের পর দিন এভাবেই কাজ করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।দার্জিলিং তথা উত্তরবঙ্গের চা শুধুমাত্র দেশে নয় সারা বিশ্বেই খ্যাতি রয়েছে। আর সেই চা চাষে চারা গাছ লাগানো থেকে গাছের পরিচর্যা এবং সর্বোপরি গাছ বড় হলে পাতা তুলে ফ্যাক্টরিতে পাঠানো পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলে চা শ্রমিকেরা। এই ভরা বর্ষাতেও কিভাবে চা শ্রমিকরা কাজ করে চলছেন
লরি থেকে তেল চুরির চেষ্টা, ধৃত ৪
তাদের কাছে নেই রেইনকোট। একটি বড়োমাপের প্লাস্টিক শরীরে মুড়ে বাগানে পাতা তোলার কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই।বর্ষাকালে বাগানে সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রবকেও উপেক্ষা করে প্রত্যেকদিন কাজে আসেন তারা। সকাল ৮টায় বাগানে কাজ শুরু হয়। বেলা ১২টায় খাবার খেয়ে ফের বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাগানে কাজ করতে হয় তাদের। দৈনিক হাজিরা ২৪০টাকা মাত্র। এদের মধ্যে অনেকেরই বাড়িতে ছোটো বাচ্চা রয়েছে। তাদের দেখভাল করার মত লোক নেই বাড়িতে। ফলে বাধ্য হয়ে বাচ্চা নিয়েই কাজে আসেন তারা। যদিও বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য বাগানেই ব্যবস্থা রয়েছে। এত কিছুর পরও মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় বাগানে।
বাড়িতে লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে দুঃসাহসিক চুরি
গত বছর হঠাৎই ত্রিহানা চা বাগান বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিনমাস বন্ধ থাকে চা বাগান। ওই তিনমাস বিভিন্ন আর্থিক অনটনের মধ্যে কাটাতে হয়েছিল সমস্ত শ্রমিকদের। যদিও বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই বাগানে বলে জানিয়েছেন বাগানের শ্রমিক সবিতা মুন্ডা। বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার প্রসঙ্গে সে জানায়, প্রথম প্রথম অসুবিধে হলেও এখন মেনে নিতে হয়েছে। বাগান ছাড়া তাদের অন্য উপায় নেই। মাঝে মধ্যেই কাজ করতে গিয়ে সাপের দেখা মেলে তবুও ভয়কে দূরে সরিয়ে পরিবারের জন্য কাজ করে যেতে হয়।চা শ্রমিক অজন্তি লাখরা জানায়, বৃষ্টির সময় প্লাস্টিক মুড়ে কাজ করি। ভিজে যাই তবুও কিছু করার নেই। সকলে এভাবেই কাজ করে বাগানে। কাজ করলেই সংসার চলে। তাই শরীরের কথা বেশি চিন্তা না করে প্রতিদিন কাজে আসতে হয় সকলকে।