বছর শেষ হতে আর হাতে গোনা কয়েকটাদিন বাকী। এখনও উত্তর দিনাজপুর জেলার মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে এসে পৌঁছয়নি কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা। ফলে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন খরচ চালাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের একাংশের দাবী, কম্পোজিট গ্রান্ট না মেলায় অনেক বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ-টেলিফোন বিল, চক, ডাস্টার কেনার খরচ পর্যন্ত কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে জেল হাজতে ঠাঁই ২ বৃদ্ধার
মূলতঃ কম্পোজিট গ্রান্ট বাবদ বিদ্যালয়গুলির দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য রাজ্য সরকার দেয় ৬০ শতাংশ এবং কেন্দ্রীয় সরকার দেয় ৪০ শতাংশ অর্থ। পড়ুয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলিকে এই অর্থ প্রদান করা হয়। পরিসংখ্যান অনুসারে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা এক হাজারের বেশি তাদের বছরে ১ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। আবার যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা এক হাজারের কম অথচ আড়াইশোর বেশি সেখানে ৭৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০ থেকে ২৫০ এর মধ্যে সেখানে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওয়ার কথা।
ধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে ১০ বছরের সাজা
যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০০’র আশেপাশে সেই সমস্ত বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু বছর শেষ হতে চললেও এখনো পর্যন্ত রাজ্য কিংবা কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত অর্থের কোনটাই এসে পৌঁছায়নি উত্তর দিনাজপুর জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলির কাছে। ফলে কিভাবে গোটা বছরের খরচ চালানো হবে? এই ঘাটতি কিভাবে মেটানো সম্ভব? তা নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এক দেশ এক ভোট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সিলমোহর, সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ হতে পারে বিল
রায়গঞ্জের করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা বলেন, কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা প্রতি বছর পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এর জন্য খরচ করতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যান্য তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
রায়গঞ্জের দেবীনগর গয়লাল রামহরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ভাস্বতী বসু বিশ্বাস বলেন, প্রতিবছর কখনও ধাপে ধাপে কখনও আবার একেবারই কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা ঢোকে। কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত সেই টাকা মেলেনি। ফলে বিদ্যালয়ের খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে।
রিলস বানতে গিয়ে দূর্ঘটনা,আহত ২
এ বিষয়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা না দেওয়ার সাথে সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্যর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। কোন সরকারই চায়না সাধারণের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা অটুট থাকুক। এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে তারা ডেপুটেশনও প্রদান করেছেন। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না।
প্রতারনার অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল ছাত্র নেতা
অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসঙ্ঘের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, বছর শেষ হতে চলল এখনও কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা বিদ্যালয়ের একাউন্টে ঢোকেনি। এ নিয়ে তারাও ২০ নভেম্বর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তার কোন সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে আর্থিক ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। অনেক বিদ্যালয়কে ঋণ নিয়ে খরচ চালাতে হচ্ছে।
বিয়ে করে পালাল স্ত্রী, বিক্ষোভ পাত্রের
অন্যদিকে এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, সত্যিই এটা একটা সমস্যা। কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন খাতের মতো এই খাতেও বরাদ্দ নিয়ে বঞ্চনা করছে। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী অবগত রয়েছেন। সংগঠনগত ভাবে এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
এসএসবি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে শিলিগুড়ি আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
যদিও এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ভবনের সাথে কথা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ঢুকে যাওয়ার কথা কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা।