নিউজ ডেস্ক , ১০ নভেম্বর : ঋতু পরিবর্তনের সাথে জ্বর সর্দি কাশি খুব স্বাভাবিক। একটানা সর্দি কাশি খুবই বিরক্তিকর। অনেকে আছেন যাদের ডাক্তার ও ওষুধে অনীহা। কেবলমাত্র সর্দি ও কাশির জন্যে ডাক্তারের কাছে যাওয়া অনেকেরই অপছন্দ। তবে আমাদের ঘরেই এমন কিছু উপকরণ রয়েছে যা দিয়ে আমরা সহজেই সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন দেখে নেওয়া যাক –
১) এক টেবিল চামচ আদা কুচি ৪ গ্লাস জলে মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর সেই জলে সামান্য মধু মিশিয়ে দিন। এই পানীয়টি দিনে তিন বার পান করুন। এছাড়াও এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, লবঙ্গের গুঁড়ো দুধ অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। চাইলে এক টুকরো আদা নিয়ে সেটা মুখে রেখে আস্তে আস্তে চিবিয়ে সেই রস পান করুন। আদার রস বুকের কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
২) গরম জলের গার্গল করলে গলাব্যথা কমে যায়। এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে দিনে চারবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।
৩) বাসক পাতা জলে সেদ্ধ করে, সেই জল ছেঁকে নিয়ে উষ্ণ গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। দৈনিক সকালে এই পানি খেতে পারেন। ২-৩ দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। তেতোভাব কমাতে রসের সাথে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।
৪) মেন্থল দিয়ে তৈরী ক্যান্ডি বা চকোলেট কাশির জন্য উপকারী। এসব ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে গলা থেকে কফ গুলোকে বের করে ও কাশি কমাতে পারে।
৫) এক কাপ সামান্য উষ্ণ জলে দুই চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে এই পানীয়টি দিনে অন্তত দু’ তিনবার পান করুন। মোটামুটি ৮-১০ দিন পান করুন। দ্রুত শ্লেষ্মার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৬) শুষ্ক কাশি প্রতিকারে মধু বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু প্রতিদিন ১ থেকে ৩ বার গ্রহণ করুন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ মধু খেয়ে নিন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ চা চামচ থেকে ১ টেবিল চামচ হতে পারে। মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।