নিউজ ডেস্ক, ০৯ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বুথফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে থাকার আভাস পেয়েই ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতে তৎপর হল কংগ্রেস হাইকমান্ড। তড়িঘড়ি দুজন শীর্ষ নেতাকে পাটনায় পাঠিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মূলতঃ প্রলোভনে পা দিয়ে দলের নবনির্বাচিত বিধায়করা যাতে বিজেপিতে না যান তা নিশ্চিত করতেই সোনিয়া গান্ধির নির্দেশে দলের সাধরাণ সম্পাদক রণদীপ সূর্যেওয়ালা এবং অবিনাশ পাণ্ডে পাটনায় গেছেন। মঙ্গলবার ভোটগণনার দিকে নজর রাখার পাশাপাশি যোগাযোগ রাখবেন দলের প্রার্থীদের সঙ্গে। রাত পোহালেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। ফলে টানটান উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে। বিহারের এবারের ফলাফল শুধু আঞ্চলিক সমীকরণ নয়, জাতীয় রাজনীতির সমীকরণও বদলে দিতে পারে। কারণ করোনা আবহে দেশের সাধারণ মানুষের শোচনীয় অবস্থা৷ হাতে টাকা নেই৷ কাজ হারিয়েছে কোটি কোটি মানুষ। করোনা সংকটকালে সবথেকে বিপদে পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদেরও একই পরিস্থিতি৷ ব্যবসা বানিজ্য কার্যত লাটে৷ বাজারে জিনিসের দাম আগুন৷ তারই মধ্যে বিজেপির রামমন্দির, ৩৭০ ধারা, বালাকোট সহ হিন্দুত্বের তাস সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে কি না তা বলে বিহার নির্বাচনের ফলাফল৷ আর সেকারণেই বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে আর জে ডি কংগ্রেস মহাজোট৷ মঙ্গলবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা৷ তার আগে বিধায়ক কেনাবেচা রুখতে সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে পাটনায় পৌঁছেছেন কংগ্রেসের দুই কাণ্ডারি দলের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সূর্যেওয়ালা এবং অবিনাশ পাণ্ডে৷ দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখবেন। প্রয়োজনে জয়ী বিধায়কদের রাজস্থান কিংবা পাঞ্জাবেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ উল্লেখ্য ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় কংগ্রেস লড়ছে ৭০টি আসনে। তাদের আশা, কম করেও ৪০ থেকে ৪৫টি আসনে জয়ী হবে তারা।