নিউজ ডেস্ক, ১ মে : করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিতে আসা প্রাক্তন সাংসদ ও আরজেডির নেতা মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের৷ জানা গিয়েছে শাহাবুদ্দিন দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিহারের এক সময়ের বেতাজ বাদশাহ গ্যাংস্টার শাহাবুদ্দিন।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের হাত ধরে রাজনীতিতে নামেন আরজেডির নেতা মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। ১৯৯০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে লালু প্রসাদ যাদবের দলে নাম লেখান তিনি। ১৯৯০ ও ৯১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে দলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সর্বপ্রথম সংসদে পা রাখেন বিহারের সিওয়ানের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। ১৯৮৬ সালে সিওয়ানের সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তার পর থেকেই একের পর এক অপরাধ করলেও কোনও ব্যবস্থাই কার্যত নেয়নি পুলিশ। অ্যাসিড হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে প্রায় ৪০ টি গুরুতর মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। ১৯৯০ সালে লালু প্রসাদের হাত ধরে জনতা দলে ঢোকেন তিনি। তার পরে আর থেমে থাকেননি। রাজনীতি আর অপরাধের মিশেলে উত্তর বিহারের বেশির ভাগ এলাকায় তিনিই হয়ে ওঠেন অঘোষিত শাসক। সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে শুরু করেন তিনি। দু’ডজন খুন আর অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে সিওয়ানের তৎকালীন পুলিশ সুপার বাচ্চু সিংহ মিনার সঙ্গে বিরোধ বাধে সাহাবুদ্দিনের। দু’তরফের গুলিযুদ্ধে কম করে ১০ জনের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি থেকে একে ৪৭-সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়। তখনও গ্রেফতার হননি সাহাবুদ্দিন। ২০০৩ সালে সিপিআইএমএল নেতা মুন্না চৌধুরিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালে দুই ভাই গিরিশ রাজ এবং সতীশ রাজকে অ্যাসিডে ডুবিয়ে খুনেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরে গিরিশ-সতীশের আরও এক ভাই রাজীব রোশনকে একই কায়দায় খুন করা হয়। ২০০৭ সালে সিপিআইএমএল নেতা ছোটেলাল গুপ্ত হত্যাকাণ্ডে ১০ বছরের সাজা হয় তাঁর। ওই বছরই পুলিশ সুপারকে আক্রমণের দায়ে ১০ বছরের সাজা হয় তাঁর। তবে দু’টি মামলাতেই উচ্চ আদালতে জামিন পেয়ে যান তিনি।