নিউজ ডেস্ক : সুরাপ্রেমীদের স্বস্তি দিয়ে আনলক ফোরে রাজ্যে শর্তসাপেক্ষে খুলে গেলো পানশালা। তবে বার বা নাইটক্লাবগুলিতে নাচের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সুত্রের খবর বারগুলির মোট আসনের ৫০ শতাংশ গ্রাহক বসতে পারবেন একমুহূর্তে।
করোনা আবহে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও দূরত্ববিধি মেনে তবেই গ্রাহকদের বসার বন্দোবস্ত করতে হবে। খোলা ও বন্ধ করার সময় ও সরকারী নিয়ম মানতে হবে পানশালা কর্তৃপক্ষ কে। পশ্চিমবঙ্গে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বারগুলি খোলা হতে পারে বলে আগেই খবর মিলেছিলো। উল্লেখ্য ৪০ দিন লকডাউনের পর প্রথমে মদের দোকান খোলার পর বিপুল বিক্রি হলেও পরে দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্রি কমে যায়।
এই পরিস্থিতিতে খুচরো ক্রেতা ধরতে পানশালা বা রেস্তোরাঁগুলি খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল রাজ্য আবগারি দফতর। আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে অনেক ক্রেতাই সামাজিক কারনে দোকান থেকে মদ কিনতে চান না বরং পানশালা রেস্তোরাঁতে খেয়ে সময় কাটিয়ে চলে আসেন। সেই কারণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ জারি করে এদিন থেকে সমস্ত পানশালা খুলে দেওয়া হল আর দেওয়া হল রেস্তোরাঁতে মদ পরিবেশনের অনুমতিও। তবে বারগুলি কতক্ষন খোলা থাকবে তার অনুমতি দেবেন স্থানীয় প্রশাসন।
কনটেনমেন্ট জোনে অবশ্য বার খোলার অনুমতি এখনি দেওয়া হচ্ছে না। রায়গঞ্জের এক বার মালিক বলেন,” বার খোলার ব্যাপারে সরকারী নির্দেশ পেয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বিধি, স্যানিটাইজেশন, বার কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুচলেকা দিতে হয়েছে বার খোলার অনুমতির জন্য। সুত্রের খবর ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশী মদ ও বিয়ারের দাম কমলেও এখনি কমছে না বিদেশী মদের দাম। তবে যাই হোক শর্তসাপেক্ষে পানশালা খুলে যাওয়ায় খুশী সুরাপ্রেমীরা।