চাঁচল, ১৬ জুলাই : অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েঅসুস্থ যুবকের স্ত্রী ডলি খাতুন জানিয়েছেন, দিল্লীতে কাজ করত তার স্বামী। লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপরে তার হঠাৎ করে জ্বর আসে। ধীরে ধীরে তার হাত-পা সহ সারা শরীর অবশ হয়ে যায়। শয্যাশায়ী ছেলে। ফলে সাহায্যের জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছেন অসহায় পিতা।
জানা গিয়েছে, চাঁচল ২নং ব্লকের ভাকরী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের গোরক্ষপুর গ্ৰামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন দিল্লীতে শ্রমিকের কাজ করত। কিন্তু লকডাউনে বাড়ি এসে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত থেকে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে সে। কোলকাতা, বিহার সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্বান্ত পরিবার। তার আরো উন্নততর চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অসুস্থ যুবকের স্ত্রী ডলি খাতুন জানিয়েছেন, দিল্লীতে কাজ করত তার স্বামী। লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপরে তার হঠাৎ করে জ্বর আসে। ধীরে ধীরে তার হাত-পা সহ সারা শরীর অবশ হয়ে যায়। অনেক জায়গায় তার চিকিৎসার জন্য যাওয়া হয়েছে কোন লাভ হয়নি। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে বলেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অসহায় পরিবারটি। প্রতিবেশীদের কাছে চেয়ে-চিন্তে কোনরকমে কায়ক্লেশে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। অসুস্থ মকবুলের বাবা আনোয়ারুল হক জানিয়েছেন, ছেলের আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের রোজগার একদম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কায়ক্লেশে দিন চলছে তাদের। তার ছেলের তিনটে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে। তারা খাওয়ার জন্য বায়না করে। এমতাবস্থায় নিজেদের পেট ভরে না, সেখানে ছেলের চিকিৎসা কিভাবে সম্ভব হবে। যা সম্পত্তি, জমানে টাকা ছিল সবই ছেলের চিকিৎসায় নিঃশেষিত। ফলে ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সহৃদয় সংস্থা কিংবা সংগঠনের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন মকবুলের পিতা আনোয়ারুল হক।
আরও খবর পড়ুন : বিদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পরিদর্শনে বোর্ড কর্তারা