
ইটাহার, ২০ জুন : তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমের হাত থেকে সাময়িক রক্ষা পেতে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। আর করোনা আবহে চলা লকডাউন একটু শিথিল হতেই তালের শাঁস বিক্রি করে ভালোই মুনাফা লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা।
যেভাবে বেশ কিছু দিন ধরে গরম পড়েছে সেখানে দাড়িয়ে একটু গরম থেকে রেহাই পেতে রাস্তার ধারে বসে তাল বিক্রেতাদের দেদার বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। এমনি চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়৷ ভ্যাপসা গরমে শরীরের জলশূন্যতা দুর করতে বেশ ভূমিকা রাখে এই ফলটি। ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ ভূটভূটি গাড়িতে তাল বোঝাই করে এনে ব্যবসা করছেন পেটের দায়ে। এই সুস্বাদু ঋতুকালীন ফল তালশাঁসের বেশ চাহিদা থাকায় ইটাহার সদর চৌরাস্তা এলাকার বাজারে তালের শাঁস কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় দেখা গেলো সাধারণ মানুষদের। প্রত্যেক তালশাঁস ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঋতুকালীন নতুন ফল হাতের মুঠোয় পেয়ে খুশি ক্রেতারা। করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে ইতিমধ্যে দোকান পাঠ খোলায় সময় নির্ধারন করেছে রাজ্য সরকার। ফলে সেই সময়ের মধ্যে সরকারি নির্দেশিকা মেনেই দোকান করছেন অন্যান্য ফলের মত এই তালশাঁস ব্যবসায়ীরা। কেউ পেশার টানে আবার কেউ লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাঁচার তাগিদে সংসার চালাতে বেছে নিয়েছেন এই ঋতুকালীন ফলের ব্যবসা। তবে বিক্রেতারা কেউ স্থানীয় আবার কেউ বাইরে থেকে তাল কিনে এনে তালশাঁস বিক্রি করছেন ইটাহার সদর এলাকার ফুটপাতে। এমনকি ফুটপাতের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান গাড়ি নিয়ে তালশাঁস বিক্রি করতে দেখা গেলো এদিন ইটাহার বাজারে। লকডাউনের বাজারেও চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি ভালো হওয়ার ফলে লাভের মুখ দেখছেন তালশাঁস ব্যবসায়ীরা।
