নিজস্ব সংবাদদাতা , হরিশচন্দ্রপুর , ২২ ফেব্রুয়ারি : সংবাদ মাধ্যমে খবরের জেরে অবশেষে প্রশাসনের সহায়তায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেল হরিশচন্দ্রপুরের বারোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কি দাস। প্রায় ১ বছর ধরে অজানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।স্বামীর অত্যাচারে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাবার বাড়িতে থাকেন পিঙ্কি।
এমতাবস্থায় অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পরিবারের প্রত্যেকের কপালে। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মালদার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না পেয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিল পিঙ্কি।এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপরেই ওই যুবতীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দানে উদ্যোগী হয় আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসনের তরফেই মালদার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য গাড়ি থেকে শুরু করে অর্থ সাহায্য সবটাই করেছে জেলা প্রশাসন। এখন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত ওই যুবতী। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পেরে খুশি মা লক্ষ্মী দাসও। লক্ষী দাস জানিয়েছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় শরীরে একাধিক রোগ বাসা বেঁধেছে পিঙ্কির। মাথা ও সমস্ত শরীরে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে পিঙ্কির। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যেতেও প্রস্তুত তাঁরা। অন্যদিকে চিকিৎসক ডি. সরকার জানান, এতটাই শারীরিক সমস্যা রয়েছে যে পরিস্থিতি স্থীতিশীল না হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।