হরিশচন্দ্রপুর, ৭ জুলাই : ক্যানেল বন্ধ রাখায় জমা জলে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। ক্যানেল খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হল হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকার কৃষকেরা। এই ঘটনায় ক্যানেল বন্ধের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, মুকুন্দপুর থেকে উত্তর রামপুর গ্রামের পূর্ব সীমানা হয়ে বাঁধ রোড থেকে মহানন্দা নদী পর্যন্ত একটি ক্যানেল আছে।অভিযোগে এক বছর ধরে এই ক্যানেল বন্ধ করে রেখেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হক এবং তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান প্রকাশ দাস। ফলে জল জমে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। এমনকী বাড়ি ঘরেই জল ঢুকছে।তারা মাছ চাষ করার জন্য উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে ক্যানেল আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। ক্যানেল খোলা নাহলে এলাকার প্রায় ৫০জন চাষীর জমির ফসল নষ্ট হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তারা। উত্তর-রামপুরের চাষী নুর আলম বলেন, তিন বছর ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাস মাছ চাষ করছে।সে ক্যানেল বন্ধ করে রেখেছে।প্রায় ১০০ বিঘা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এব্যাপারে পঞ্চায়েতও মাথা ঘামাচ্ছে নাসমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।অবিলম্বে ক্যানেল খুলে দেওয়ার দাবীতে বিডিওর পাশাপাশি মহকুমাশাসক ও জেলাশাসককে গণঅভিযোগও জানিয়েছেন এলাকার কৃষকেরা।যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হকজানিয়েছেন, ক্যানেল সংস্কারের জন্য সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এব্যাপারে কিছু লোক চাষীদের ভুল বুঝিয়ে অভিযোগ করিয়েছেন বলে দাবী করেছেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন : জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেলে চেপে বিধানসভায় শ্রমমন্ত্রী