মালদা, ১৯ জুন : মালদার কালিয়াচকের একই পরিবারের চারজনকে খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে এলো নতুন মোড়। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদ। শনিবার কালিয়াচকের পুরাতন ১৬মাইল এলাকায় থাকা ওই বাড়িতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই চারজনের দেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়।
বাড়িরই এক সেপ্টিক ট্যাঙ্কে ওই চারজনের দেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল। পরে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা খাইয়ে চারজনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে।ধৃতের কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তার দাদা আরিফ মহম্মদকে খুনের চেষ্টা করায় সে পালিয়ে যায়। এরইমধ্যে আসিফ বাড়ি বিক্রীর চেষ্টা করছে এই বিষয়ে জানতে পেরে এলাকায় ফিরে আসে আরিফ মহম্মদ। গোটা বিষয়টি কাকা ও পরিবারের সদস্যদের জানান আরিফ। তবে দীর্ঘদিন ধরে সে কেন এই বিষয়ে নীরব ছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্তে আটক করা হয়েছে দাদা আরিফ মহম্মদকেও। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে আসিফ। তার বাবার প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। মাঝে মাঝে বাবার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে সে খরচ করত। তবে কি উদ্দেশ্যে খরচ করা হচ্ছে সেটা কখনই তাদেরকে জানাতো না। এমনকী আসিফ অবৈধ হ্যাকারের কাজও করত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।সে বিভিন্ন ভাবে সাইট হ্যাক করে টাকা উপার্জন করেন।পাশাপাশি বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করার ক্ষেত্রেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন আদালতে জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনসুত্রে। অন্যদিকে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনাযর তদন্তে কোলকাতা থেকে ফরেনসিক টিম আসছে বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনসুত্রে।