
মালদা, ২০ জুন : কালিয়াচক হত্যাকান্ডের তদন্তে নেমে উঠে আসছে আরো নতুন মোড়। শনিবার আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মেলে বেআইনী অস্ত্রের হদিশ।ঘটনায় তার দুই বন্ধু সাব্বির আলি এবং মেহফুজ আলমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ৭ এমএম পিস্তল পাওয়া গিয়েছে।
৮০টিগুলি, ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে । আসিফ, মেহফুজ ও সাবিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।রবিবার এই মর্মে কালিয়াচক থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনীশ সরকার। তিনি বলেন, গুলি করে পরিবারের সদস্যদের খুনের পরিকল্পনা করে থাকলেও শব্দের ভয়ে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে অজ্ঞান করে চৌবাচ্চায় পুঁতে রাখে।তার কাছে থাকা মজুদ অস্ত্র সাবির ও মেহফুজের কাছে রেখে দেয় বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও আসিফ আরো কোন বড়সড় পরিকল্পনার অঙ্গ ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহের উর্দ্ধে নয় তার দাদা আরিফের ভূমিকাও। ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করবে রাজ্য ফরেন্সিক দল। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএখোঁজখবর নিতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা।অন্যদিকে রবিবার ধৃত আসিফ, সাবির ও মেহফুজকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে। এদিন মালদা আদালতে সেকেন্ড কোর্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেয়া মন্ডল রাহার এজলাসে পেশ করা হলে বিচারক ধৃত আসিফ মহম্মদকে বারোদিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে ধৃত তার দুই বন্ধু সাবির আলি ও মেহফুজ আলমকে বিচারক চারদিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকারপক্ষের আইনজীবি মেহতাব আলম। মেহতাব আলম জানিয়েছেন, ধৃত তিনজনকে এদিন বিচারক কেয়া মন্ডল রাহার এজলাসে পেশ করে। পুলিশ ধৃত আসিফের ১২দিনের হেফাজত চাইলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। অন্যদিকে তার দুই বন্ধু সাবির ও মেহফুজের ৫দিনের পুলিশী হেফাজত চাইলে ৪দিনের পুলিশী হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। যদিও এই কান্ডের পেছনে কি উদ্দেশ্যে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
