নিউজ ডেস্ক :বয়সের ভারে হারিয়েছে চলাফেরার ক্ষমতা। শরীর জুরে ভনভন করছে মশা-মাছি। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভেতরে জল সরবরাহ বিভাগের পাশে নোংরা-আবর্জনার মাঝে পরে রয়েছেন এমনই অসহায় এক বৃদ্ধা। জীবনের অন্তিম লগ্নে পৌঁছে এই পরিস্থিতিতে পরতে হবে হয়ত স্বপ্নেও ভাবেন নি তিনি। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে এভাবে তিনি পরে থাকলেও নজর নেই কারোর। রোজ হাসপাতালে বহু মানুষ যাতায়াত করছেন।
আরও পড়ুন –তৃণমূল নেতার বাড়ির পিছন থেকে মিললো তাজা বোমা, চাঞ্চল্য মালদার চাঁচলে
চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী কিংবা ফাঁরির পুলিশ কর্মীরা এই পথ দিয়ে চলাফেরা করলেও ঐ বৃদ্ধার প্রতি সহানুভূতিশীল হননি কেউই। কথায় বলে না স্বার্থের দুনিয়ায় অসহায় মানুষ বড় একা। সত্যিই যখন আপন মানুষই পর হয়ে যায় তখন পর অনেক দুরের বিষয়। এই চিত্রই যেন ফুটে উঠছে এই বৃদ্ধার করুন পরিনতির মধ্যে। কিন্তু অসহায় দুর্বল এই মানুষটি এখানে এল কি ভাবে৷ একা একা আসা তো সম্ভব নয়? এই নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন। সংলগ্ন জল সরবরাহ দফতরের এক কর্মী জানিয়েছেন ৩ দিন আগে সম্ভবত বৃদ্ধার ছেলে তাকে এখানে ফেলে গিয়েছে। তারপর থেকে দিন রাত এখানেই পরে রয়েছেন তিনি। একাধিক বার হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরিতে তাকে উদ্ধারের আবেদন জানালেও পুলিশ দায় ঝেড়েছে কাঁধ থেকে।
আরও পড়ুন –টিউবওয়েলে পরিস্রুত পানীয় জল বের না হওয়ায় বিপাকে খুদে পড়ুয়ারা
অন্যদিকে এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতাল যেখানে ধনী, দরিদ্র, সহায়, অসহায় নির্বিশেষে সকলের সেবা পাওয়ার কথা সেই স্থানে এমন অমানবিক চিত্র? অবিলম্বে এর সুরাহার দাবী জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা।
আরও পড়ুন –দুঃসাহসীক চুরির ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ শহরে
আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি সুপার অভিক মাইতির সাথে। তিনি আবার এর নেপথ্যে সরকারি প্রক্রিয়ার তথ্য দিলেন। তার দাবী, কোনো এনজিও তাকে ভর্তি করলে তবেই তার চিকিৎসা শুরু হবে।কিন্তু এখানে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে মানবিকতা৷ একটা অসহায় মানুষকে উদ্ধার করে তার চিকিৎসা যেখানে অত্যন্ত জরুরী তখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি নিয়ম-কানুন-প্রক্রিয়া। যাকে ঘিরে স্তম্ভিত অনেকেই।