ডিজিটাল ডেস্কঃ আমদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করল ইউটিউব (YouTube)। শনিবার সকাল থেকেই ইউটিউবের হোমপেজে (YouTube Home Page) তাদের লোগোর পাশে দেখা গেল একটি কালো রিবন (Black Ribbon)। সাধারণত আন্তর্জাতিক স্তরে বড়সড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মর্মান্তিক ঘটনার পরেই ইউটিউব এই ধরনের প্রতীক তাদের হোমপেজে প্রকাশ করে। দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
ইউটিউবের হোমপেজে কালো রিবনের উপর মাউস রাখলেই ভেসে উঠছে বার্তা— “In memory of the victims of the tragic plane crash.” যা সারা বিশ্বের নেটিজেনদের আরও আবেগপ্রবণ করে তুলেছে। এর আগে শুক্রবার গুগল (Google) নিজেও তাদের হোমপেজে একই ভাবে কালো রিবন যুক্ত করে শোক প্রকাশ করেছিল।
আরও পড়ুনঃ দ্বন্দ্বে রাশ টানতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক, কেষ্ট-কাজলকে সতর্ক করলেন বক্সী-ফিরহাদ
গত ১২ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুরে, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (Boeing 787-8 Dreamliner, Flight AI-171) লন্ডনের গ্যাটউইকের (London Gatwick) উদ্দেশ্যে আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। তবে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ ও আগুনের হলকা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায়, তখন মনে হচ্ছিল, যেন ভূমিকম্প হচ্ছে।
সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৬৫ জন। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া নতুন দেহের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪-এ। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ভারতীয় (Indian Nationals), ৫৩ জন ব্রিটিশ (British), ১ জন কানাডিয়ান (Canadian), ৭ জন পর্তুগিজ (Portuguese) এবং ১২ জন ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী (Air India Crew)। এছাড়া দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও।
উদ্ধারকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময়ে দুর্ঘটনাস্থলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতটাই ভয়াবহ ছিল পরিস্থিতি যে, শুধু মানুষ নয়, আশেপাশের পশু-পাখিরাও রেহাই পায়নি। এখনও অনেকেই নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর গুগল ও ইউটিউবের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি সরাসরি তাদের হোমপেজে কালো রিবন তুলে ধরে বিশ্ববাসীর কাছে এই দুর্ঘটনার গভীরতা এবং গুরুত্ব আরও একবার তুলে ধরল।