নিউজ ডেস্ক , ১৬ জানুয়ারী : আধুনিক সময়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় সমাজ মাধ্যম বা অ্যাপ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু তাদের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে নতুন শর্তাবলি নিয়ে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল বিশ্বজুড়ে।
এরফলে প্রাইভেসি পলিসির নানাবিধ পরিবর্তন নিয়ে জেরবার হতে হচ্ছিলো হোয়াটসঅ্যাপকে। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল নানান বিভ্রান্তিরও।অনেক ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছিলেন এই অ্যাপ। বিশ্বজুড়ে ওঠা প্রবল চাপে এবার ডেটা শেয়ারিং সম্পর্কিত সেই আপডেট আপাতত পিছিয়ে দিল হোয়াটসঅ্যাপ। নিজস্ব ব্লগে এবিষয়টি জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কতৃপক্ষ। ৮ই ফেব্রুয়ারি ছিল ডেটা শেয়ারিং সংক্রান্ত আপডেট মেনে নেওয়ার শেষ সময়সীমা।এই আপডেটের যে সমস্ত বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে সেগুলি হল— ব্যবহারকারীর চ্যাট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। মূলত বিজ্ঞাপনের জন্যই নাকি এটি করা হবে বলে অভিযোগ উঠছিল বিভিন্ন মহলে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের কোনপ্রকার তথ্যই তারা দেখতে পায় না।লোকেশন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড থাকে বলেও দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।এই আপডেটের ফলে ফেসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ম্যানেজ করতে, তথ্য চালাচালিতে সুবিধা হবে। ব্যবসায়িক ব্যবহার আরও সহজ করতেই ওই আপডেট আনা হয়েছিল বলে নিজেদের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে এই সংস্থা। যদিও এই নিয়ে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।১৫ই মে নতুন অপশন আসার আগে এই পলিসি সম্পর্কিত বিভিন্ন পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের কাছে ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।