নিউজ ডেস্ক, ২৮ মার্চ :সেনা সরালে আল-কায়েদার সহযোগিতায় আফগানিস্তানের দখল নিতে পারে তালিবানরা৷ সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেন প্রশাসনকে এমনই আশঙ্কা করে রিপোর্ট দিয়েছে সেদেশের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের দাবি তালিবানরা শুধু ক্ষমতাই দখল করবে না, আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিতে পারে আল কায়দাও। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
সূত্রের খবর, আফগানিস্তান থেকে এপর্যন্ত অধিকাংশ মার্কিন সেনাই সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে সেদেশে রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার সেনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তি হয়েছিল, সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। বাইডেন প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে ১ মে-র মধ্যেই অবশিষ্ট সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু পরিস্থিতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে অনুকূল নয়, তা জানাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের এমনরিপোর্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। অনেক প্রশাসনিক কর্তাই দাবি করেছেন, গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা মেনে আপাতত ওই সেনাদের আফগানিস্তানেই রেখে দেওয়া হোক। মার্কিন সেনাই নয়, আমেরিকার মিত্রদেশের ৭ হাজার সেনাও মোতায়েন রয়েছে আফগানিস্তানে। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন মেনে নিয়েছেন, সেনা সরানোর ডেডলাইন মেনে চলা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে আগামী বছরেও মার্কিন সেনা সেখানে থাকুক, তাও যে তিনি চান না তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেনা সরানো নিয়ে আমেরিকার এই সংশয়কে ভাল চোখে দেখছে না তালিবানরা। ইতিমধ্যেই তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যদি মে মাসের পরেও সেনা সরানো না হয়, তাহলে তারা বিদেশি বাহিনীর উপরে ফের হামলা চালাবে।প্রসঙ্গত, এমনিতেও শান্তি আলোচনা চলার মাঝেই বারবার জঙ্গি হামলা হয়েছে আফগানিস্তানে। এই হামলাগুলির পিছনেও তালিবানেরই হাত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। আফগান সরকারের পক্ষে তালিবানদের সামলানো বেশ কঠিন। মার্কিন সেনা সরলেই দেশটা ফের পুরোপুরি দখলে নিতে পারে তালিবানরা। আপাতত তাই বাইডেন প্রশাসনের সতর্ক থাকা জরুরি বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।