নিউজ ডেস্ক , ০৫ই নভেম্বর : শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত দিনে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর।শিক্ষার মান যাচাইয়ে ডিসেম্বর মাসে হতে চলেছে স্টেট অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে বা স্যাস।আগামী বছর ২০২৩ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি।
এখনও পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্যের সরকার না মানলেও ২০২৩ সালে রাজ্যের স্কুলগুলির জন্য ১৩ দফা নির্দেশিকা ইতিমধ্যে জারি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।কি রয়েছে এই ১৩ দফা নির্দেশিকায় একবার দেখে নিই।
১) প্রতিবছর ২ রা জানুয়ারী বা তার পরের দিনগুলিতে করতে হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান
২) এক ক্লাস থেকে পরবর্তী ক্লাসে ওঠা ছাত্রছাত্রীদের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহেই সম্মান জানাবেন প্রধান শিক্ষক
৩) ছাত্রছাত্রীদের নতুন ক্লাসে চকলেট,মিস্টি দিয়ে স্বাগত জানাবেন ক্লাস টিচার
৪) ক্লাসের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের একত্রিত করে আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানাবেন ক্লাস টিচার
৫) সব নবাগত ছাত্রছাত্রীরা তাদের পরিচয় ক্লাস টিচারকে জানাবেন
৬) প্রধান শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের ইতিহাস ও সরকারি সুযোগ সুবিধার বিষয় জানাবেন
৭) জন্ম তারিখ সহ ছাত্রছাত্রীদের ফটো রাখতে হবে স্কুলের ফটো কর্নারে
৮) ক্লাস টিচারের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ফটো তুলে তা রাখতে হবে ফটো কর্নারে
৯) প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর করা ধন্যবাদ জ্ঞাপপক চিঠি দিতে হবে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে
১০) ক্লাস মনিটর,কালচারাল মনিটর,স্পোর্টস মনিটর,মিড-ডে মিল মনিটর তৈরী করতে হবে এই সময়কালে
১১) গ্রুপ লার্নিং এর জন্য ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করতে হবে এই সময়কালের মধ্যে
১২) পঠন পঠনের উপযোগী বন্দোবস্তে বসাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের
১৩) গোটা অনুষ্ঠান তথ্যচিত্র আকারে তৈরী করে প্রত্যেক বছর বুকলেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের জারি করা এই ১৩ দফা নির্দেশিকা নিয়ে ভিন্ন মত পোষন করেছেন জেলার শিক্ষকমহল।নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রায়গঞ্জ সদর চক্র সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন,শিক্ষা দফতর বিগত দিনেও বহু নির্দেশিকা জারি করেছে।কিন্তু সেগুলি বাস্তবসম্মত না হওয়ায় ফলপ্রসূ হয় নি।রাজ্যের স্কুলগুলির বর্তমান পরিকাঠামোয় নয়া এই নির্দেশিকা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদ্যুৎ বাবু ।
শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান।এই নির্দেশিকা ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে মত গৌরাঙ্গ বাবুর।
এদিকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের জারি করা নির্দেশিকাকে স্বাগত জানালেও জেলার বেশকিছু স্কুলে ছাত্র অনুপাতে প্রয়োজনীয় ঘর না থাকায় পঠন পাঠনের উপযোগী বন্দোবস্তে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসরুমে বসানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হবে বলে মনে করছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।বিগত দিনে ক্লাসরুমের দাবি জানালেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয় নি।
আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ পালন করতে হবে স্কুলগুলিকে।ছাত্রশিক্ষক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে এই নির্দেশিকা কতটা বাস্তবসম্মত তার উত্তর মিলবে সময়েই।