
নিউজ ডেস্ক,১২ইনভেম্বের :আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুলসি চাষে প্রশিক্ষণএবং এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর গড়ে তুলতে তুলসী ও ভেষজ চাষের পাশাপাশি তুলসী গ্রাম গড়ে তোলার উদ্যোগ নিল ব্লক প্রশাসন। এলাকার মহিলাদের তুলসী চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করা হল। কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ও নাটাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং নাটাবাড়ি গ্রামের উদ্যোক্তা বাসবকান্তি দিন্দার সহযোগিতায় মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আটিয়ামাচর আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৫০ জন মহিলাকে তুলসী- ভেষজ চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সাথে সাথে তাদের হাতে ভেষজ চারা তুলে দেওয়া হলো।
আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে এল কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লক প্রশাসন। ভেষজ চাষে উৎসাহিত করতে দেওয়া হল প্রশিক্ষন, বিলি করা হলো ভেষজ গাছের চারা। শনিবার ভেষজ চাষ প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তুফানগঞ্জ-২ ব্লক বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু ও মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিপুল বর্মন, বিডিএমও অনিরুদ্ধ রায় এবং নাটাবাড়ি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তুলসী ও ভেষজ গাছের গুনাগুন ও তুলসীর ধূপকাঠি, সাবান, তুলসী চা এছাড়াও কুলেখাঁড়া সিরাপ তৈরি করে তা অর্থ উপার্জনের সম্বন্ধে অবগত করা হয় আদিবাসী মহিলাদের। চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন মহিলারাও।তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের বিডিও প্রসেনজিৎ কুন্ডু জানান, নাটাবাড়ির পর এবার তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের আটিয়ামোচড় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুলসী ও ভেষজ চাষে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন মোট ৫০ জন মহিলার হাতে ভেষজ চারা তুলে দেওয়া হয়। এই চাষ করে মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারবে এবং তাঁদের আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। এলাকারও আর্থিক বিকাশ ঘটবে।স্থানীয় মহিষকুচি ২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বিপুল বর্মন জানিয়েছেন, নাটাবাড়ি, মহিষকুচি গ্রামকে ” তুলসী গ্রাম ” হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসনের এই উদ্যোগ খুব ভালো। বহু মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হবে। পরবর্তীতে আরও অন্যান্য গ্রামেও এই ভেষজ চাষে মহিলাদের স্বনির্ভর করার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
