নিউজ ডেস্ক , ১১ই সেপ্টেম্বর : বাগুইহাটি হত্যাকান্ডের ছায়া এবার বীরভূমের খয়রাশোল গ্রামে। অপহরণ করে খুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রকে। বীরভূমের ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃতদেহ । গলার নলি কেটে খুন কলেজ ছাত্রের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন ( ২৫)
বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন বর্তমানে মল্লারপুরে ব্যবসার কাজের জন্য বাবামায়ের কাছেই থাকতো। শনিবার দুপুরে তার কয়েকজন বন্ধু ফোন করে সালাউদ্দিনকে ডাকে। বোলপুরে পিকনিক করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় সালাউদ্দিন। বিকেলে মায়ের সাথে ফোনে কথাও হয় তার। মাকে জানায় সে বোলপুরে বন্ধুদের সাথেই আছে। সন্ধ্যার মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবে। এরপর রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সালাউদ্দিনের ফোন থেকেই তার বাবা সৈয়দ আবদুলকে ফোন করে বলে যে তাদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন লাগবে নইলে ছেলেকে আর ফিরে পাবেনা।অভিযোগ, ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তি পণ চেয়ে অপহরণকারীরা ফোন করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রর বাবা সৈয়দ আবদুল মতিনকে । এই ফোন পেতেই সালাউদ্দিনের বাবা সৈয়দ আবদুল খয়রাশোল থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। এদিকে রবিবার সকালেই ইলমবাজার থানার চৌপাহাড়ি জঙ্গলে উদ্ধার হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন গলার নলি কাটা মৃতদেহ। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, মৃত ছাত্রের বাবার ফোনে মুক্তিপণের দাবি করে এক বন্ধু। সেই ফোন কল ট্র্যাক করে ইলমবাজার থানার চৌপাহাড়ী জঙ্গল থেকে সৈয়দ সালাউদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সালাউদ্দিনের বন্ধু সালমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজই তাকে আদালতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের স্বার্থে ধৃত সালমানকে পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের খয়রশোল গ্রামে।
আরও খবর পড়ুন
https://rctvlive.in/trinamool-leaders-false-promise-of-job-goes-viral/