নিউজ ডেস্ক, ৯ জুলাই : করোনা মোকাবিলায় টীকাকরণের ওপরই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে টীকা করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। আর এবারে ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টীকাকরণ শুরু হতে চলেছে দেশে।সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ১২-১৮ বছর বয়সিদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানালেন টিকাকরণ সংক্রান্ত জাতীয় বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান এন কে অরোরা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ-ডি টিকা দেওয়া হবে ১২-১৮ বছর বয়সিদের।অন্যদিকে, Covaxin-র তিন নম্বর ট্রায়াল প্রায় শেষের পথে। Zydus vaccine-র পাশাপাশি থাকবে Covaxin-ও। নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ২ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে যাওয়ার আশা দেখিয়েছেন ডাঃ এন কে আরোরা। কিন্তু এই বয়সের মধ্যে যে ট্রায়াল চলেছে তার তথ্য এখনও হাতে আসেনি।করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আগস্ট- সেপ্টেম্বরের মধ্য এদেশে ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তৃতীয় ঢেউ শিশুদের কাছে একটি চ্যালেজ্ঞ বলেও দাবি করছেন একদল বিশেষজ্ঞ। সেই কারণে এই দেশের শিশুদের টিকাকরণের দিকে বিশেষ মনোনিবেশ করা হয়েছে। যদিও দেশের পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ এর মতো তৃতীয় ঢেউ এও নিরাপদ থাকবে শিশুরা। কিন্তু তারপরেও করোনাযুদ্ধে কোনও রকম গাফিলতি করতে নারাজ সরকার। করোনা থেকে শিশুদের সবরকম নিরাপত্তা দিতে গ্রহণ করা হয়েছে একধিকতিনি আরও জানিয়েছেন, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ-ডি টিকা দেওয়া হবে ১২-১৮ বছর বয়সিদের।অন্যদিকে, Covaxin-র তিন নম্বর ট্রায়াল প্রায় শেষের পথেপদক্ষেপ।বৃহস্পতিবারই নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য ২৩,১২৩ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ৭৩৬টি জেলায় পেডিয়াট্রিক সেন্টার ও ৪০০০ টি বিশেষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী নয় মাসের মধ্যেই এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা হবে।