নিউজ ডেস্ক, ৮ জুলাই : প্রয়াত হলেন হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং। বৃহস্পতিবার ভোর ৩:৪০ মিনিটে হিমাচল প্রদেশের সিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিকেল কলেজে (IGMC) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। হৃদরোগের সমস্যায় বীরভদ্র সিং-কে সোমবারই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷
অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সিসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা। তবে শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘদিন হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন বীরভদ্র সিং। ৯ বারের বিধায়কের পাশাপাশি ৫ বার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন বীরভদ্র সিং ৷ মোট ছয়বারের জন্য হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি ৷ মার্চ ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতাও ছিলেন বীরভদ্র সিং ৷ ১৯৮৩-১৯৯০ প্রথমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তারপর ১৯৯৩-১৯৯৮, ২০০৩-২০০৭ ও শেষবারের জন্য ২০১২-২০১৭ তিনি দায়িত্বভার সামলান। কেন্দ্রেও তিনি প্রথমে প্রতিমন্ত্রী ও পরে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বভার পালন করেন।প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে পর্যটন ও নাগরিক বিমান পরিবহন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন বীরভদ্র সিং।হিমাচলের রাজপরিবারের ছেলে বীরভদ্র সিং সারাহানে জন্মগ্রহণ করেন ২৩ জুন ১৯৩৪ সালে। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্সে পড়াশুনো করেছিলেন তিনি। আক্ষরিক অর্থেই ওল্ড স্কুল রাজনীতিবিদ বীরভদ্রের কথার মধ্যেই স্পষ্ট হত তাঁর শিক্ষাদীক্ষা, আভিজাত্য। শুধু কংগ্রেস নয়, হিমাচল প্রদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বীরভদ্রের প্রয়াণে। ইতমধ্যেই তাঁর মরদেহ সিমলার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। বীরভদ্র সিংয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনদিনের শোকদিবস পালনের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আরও খবর পড়ুন : ৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ড