নিউজ ডেস্ক , ২৪ নভেম্বর : করোনা আটকাতে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আপামর বিশ্ব।কিন্ত কবে মিলবে এই ভ্যাকসিন তার হদিশ জানা নেই কারোর।এই বিষয়কে স্মরণে রেখে দুটি বিষয়ে জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সচেতনতা ও সাবধানতা এই দুটো বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শীতে আরও বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ।শীতের পারদ নামার সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। একাধিক রাজ্যে। এনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্কও করেছে কেন্দ্র।
রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে শীতে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর তিনটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই তিনটি পয়েন্ট কড়াভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দিল্লী, মহারাষ্ট্রকে নিয়ে।মূলত যে তিনটি পয়েন্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন তা হল-
১)করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দীর্ঘসময় কেটে গেলেও হাল ছাড়া চলবে না।
২) চিহ্নিত করে রাখতে হবে কন্টেইনমেন্ট জোনও। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলির উপর কড়া নজরদারী রাখতে হবে।
৩) প্রতিসপ্তাহে রেড জোনগুলিতে সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের গিয়ে করোনার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
মূলত রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ চলছে। দৈনিক প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই নিয়ে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।অন্যদিকে বড়দিনের উৎসবের মধ্যেই মুম্বইয়ে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ধাক্কা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। তা ঠেকাতে এখন থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও করোনা প্রতিরোধে বাংলার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।অন্যন্য রাজ্যের তুলনায় এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বাংলায় করোনা সংক্রমণ। এরজন্য রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি এই ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনা ভ্যাকসিন ও করোনা মোকাবিলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গেকরোনা টীকা নেওয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও।সেজন্য বৈঠকে করোনা রুখতে তিনটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এই তিনটি নিয়ম কঠোরভাবে পালন করলেই রাজ্যগুলি করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে আশাবাদী কেন্দ্র।