নিউজ ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল : দেশজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণে লাগাম টানতে কুম্ভ মেলা থেকে ফিরলেই এবার কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করল দিল্লি সরকার।
দিল্লি থেকে ৪ এপ্রিল হরিদ্বারের কুম্ভে যাঁরা অংশ নিতে গিয়েছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে৷ দিল্লি সরকারের ওয়েবসাইটে নাম সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যও তুলে ধরতে হবে৷ যদি কেউ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ এবং দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা৷ এমনই নির্দেশ দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর৷সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দিল্লিবাসীরা যাঁরা কুম্ভে গিয়েছিলেন, তাঁদের দিল্লি ফিরে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাশাপাশি নির্দেশিকায় যেসব দিল্লিবাসী ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কুম্ভে গিয়েছিলেন, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিঙ্কে তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছে। আর যাঁরা ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দিল্লি যাচ্ছেন তাঁদের দিল্লি ছাড়ার আগেই সব তথ্য প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশ রয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটটি হল www.delhi.gov.in চলতি মাসে দেশে ২০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ এই পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলা সংক্রমণের ‘সুপারস্প্রেডার’ হয়ে ওঠা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দেয়৷ প্রশ্ন ওঠে, দেশে যখন সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে তখন ধর্মের দোহাই দিয়ে মেলা চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? সরাসরি না হলেও কুম্ভমেলা বন্ধের পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ গতকাল প্রধানমন্ত্রী জুনা আখড়ার স্বামী অবধেশাননন্দ গিরির সঙ্গে কথা বলে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালনের আবেদন জানান৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কুম্ভমেলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন জুনা আখাড়া৷কুম্ভ মেলায় এ পর্যন্ত ১,৭০০-রও বেশি পুণ্যার্থী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন।