পুজো নয়, প্রতিমা বির্সজনই আনন্দের কারণ

পুজো নয়, প্রতিমা বির্সজনই আনন্দের কারণ

নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ, ২৭ অক্টোবর :  নীলকণ্ঠ পাখি ফিরে গিয়েছে। সদ্য শেষ হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ফলে স্বভাবতই ভারাক্রান্ত বাঙালির মন। পুজো শেষের পর শুরু হয়েছে বাঙালির নতুন করে আবার কর্মব্যস্ততা । একটা অংশ যখন ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আস্তে আস্তে পুজোর আমেজ কাটিয়ে দৈনন্দিন জীবনের কর্মব্যস্ততার ফিরছে তখন অপর একটি অংশের মুখে হাসি ফুটেছে পুজো শেষ হওয়াতে।

শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি এটাই। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বন্দর ও খরমুজা ঘাটে দশমীর পর জেলার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলির প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিমার রঙ ধুয়ে, মাটি গলে মিশেছে নদীর জলে। কেবল জলে ভাসছে কাঠামো গুলো। আর এই কাঠামো নদী থেকে তুলে তা বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করে সংসার চালায় পাপাই চৌধুরীর মতো আরো অনেকে। শুধু তাই নয়, দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পর তাঁরা সারাদিন জলের মধ্যে মায়ের কাঠামো খোলা থেকে শুরু করে নিজেদের মধ্যে জলকেলিতে মেতে ওঠে। জল থেকে তুলে আনা কাঠামো গুলি তাঁরা জেলারই কোনও মৃৎ শিল্পীদের কাছে বিক্রি করে অর্থ আয় করে। আবার কেও কেও বাড়ির বিভিন্ন কাজে কাঠামোর কাঠ ব্যবহার করে থাকে। তাইতো দশমী আসতেই ওদের মন আনন্দে ভরে ওঠে। উল্লেখ্য, করোনা আবহে লকডাউনের ফলে অনেকটাই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সকলে। গরীবদের অবস্থা আরোই দুর্বিষহ তাই এই কাঠামো বিক্রির টাকা তাদের সংসার চালাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাইতো ঘাট পাশ্ববর্তী দুঃস্থদের কাছে পুজো নয়, প্রতিমা বির্সজনেই আনন্দের

Next Post

দুর্গাপুজোর পরই দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠেন এই গ্রামের বাসিন্দারা

Tue Oct 27 , 2020
নিজস্ব সংবাদদাতা , হেমতাবাদ , ২৭ অক্টোবর :  বিজয়া দশমীতে এক দিকে যখন বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া, তখন ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার খাদিমপুর গ্রামে। দশমীর দিনই এই গ্রামে চন্ডী রূপী দেবী দুর্গার পুজো অনুষ্ঠিত হয়। হেমতাবাদের কমলাবাড়ি হাট ছাড়িয়ে দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার […]

আপনার পছন্দের সংবাদ