নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ২৬ অক্টোবর : করোনা সংক্রমণ রোধে নবমীর মধ্যরাতে আসরে নামল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ৷ এদিন রাত দুটো নাগাদ রায়গঞ্জ থানার আই সি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অভিযান চলে৷ মূলত অধিক রাত পর্যন্ত খুলে রাখা খাবারের দোকানপাট বন্ধ করে দেন পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি বাড়ি পাঠানো হয় সাধারণ মানুষকেও।
করোনা অতিমারির মধ্যে শারদোৎসবে সামিল হয়েছেন আপামর বাঙালি। এই উৎসবের সময় করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মুখে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক করা হয়েছিল প্রশাসন থেকে। অথচ পুজোর দিনগুলিতে মুখে মাস্ক ছিল না বহু মানুষের। মাস্ক না পড়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। সেকারণে পুলিশের পক্ষ থেকে পুজোতে সেই সমস্ত মানুষদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হয় ঘড়ি মোড় সহ অন্যান্য মোড় গুলিতে। এরপর মহানবমীর রাতেও একই ছবি লক্ষ্য করা যায়। শিকেয় ওঠে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি রাস্তার ধারের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় জমে অত রাতে। চেয়ারে বসে খাবারের সঙ্গে চলতে থাকে দেদার আড্ডাও। ফলে সংক্রমণ রোধে তৎপর হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রাত দুটোর সময় দর্শনার্থীদের বাড়ি চলে যাওয়ার পাশাপাশি দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় বিক্রেতাদের। রীতিমতো মাইকিং করেন আই সি সুরজ থাপা। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মাইকে তাঁকে বলতে শোনা যায় আগে নিজের জীবন বাঁচান। দোকান বন্ধের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন পুলিশ কর্মীরা। দোকান খোলা থাকলে দর্শনার্থীদের খাওয়া দাওয়া চলতেই থাকবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সে কারণেই করোনা সংক্রমণ রোধে পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।