চালু হয়ে গেল দেশের নতুন টেলিকম আইন।নতুন টেলিকম আইন অনুসারে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও টেলি যোগাযোগ পরিষেবা বা নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে কেন্দ্র। পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করতে পারবে সরকার।
বুধবার থেকে দেশভর চালু হল নয়া টেলিকম আইন ২০২৩। যারফলে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন ১৯৮৫ এবং ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ আইন ১৯৩৩ এই দুটি আইনে বদল এনে বুধবার থেকে বলবৎ হলো টেলিকম আইন ২০২৩।নতুন এই আইনে টেলি যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিক তুলে ধরা হয়েছে।বুধবার থেকেই টেলিকম আইন বলবৎ হবে বলে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবার একনজরে দেখে নেব নতুন এই টেলিকম আইনে কি বলা রয়েছে।
১) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও টেলি যোগাযোগ পরিষেবা বা নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে কেন্দ্র।
২) বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করতে পারবে সরকার।
৩) নয়া আইনে দেশের একজন নাগরিক সর্বাধিক ৯ টি সিম কার্ড নথিভুক্ত করতে পারবেন।
৪) উত্তর-পূ্র্ব ভারত এবং জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে একজন দেশীয় নাগরিক সর্বাধিক ৬টি সিম কার্ড নথিভুক্ত করতে পারবেন।
৫) সিম কার্ড নথিভুক্তের ক্ষেত্রে এর অন্যথা হলে প্রথমবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, দ্বিতীয়বার লঙ্ঘিত হলে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য হবে।
৭) অন্যের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিম কার্ড তুললে তিন বছরের কারাবাস অথবা ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
৮) ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া কোনও অপারেটর বাণিজ্যিক বার্তা পাঠালে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা।
৯) জমির মালিকের বিরোধিতা সত্বেও সরকার চাইলে কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে মোবাইল টাওয়ার বা টেলিকম কেবল বসাতে পারবে
১০) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার যে কোনও টেলিকম পরিষেবা ব্লক কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।এমনকি মেসেজ ও কলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে পারবে।
১১) সরকারি নিয়ন্ত্রন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের
তবে জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এমন কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সেই সাংবাদিকদের কল ও মেসেজেও নজরদারি চালাবে প্রশাসন।