নিউজ ডেস্ক , ৬ ডিসেম্বর : বাম আমলে তিনিই ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা৷ তার হাত ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুরে বামেদের উত্থান৷ এমনকি জেলার বিভিন্ন বিধানসভায় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনা ছিল তার সাংগঠনিক মুন্সিয়ানা৷ সেই দৌলতেই দুবার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি৷ ছিলেন বামেদের মন্ত্রী সভার তিন টি দফতরের মন্ত্রী৷ গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলেই৷
ধানক্রয়ে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ধলতা, ক্ষোভ কৃষকদের
কলকাতায় এস এস কে এম হাসপাতালে প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাসের মরদেহ পৌঁছাল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে৷ বুধবার দলমত নির্বিশেষে ফুলের তোড়া দিয়ে নারায়ণ বিশ্বাসকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সিপিএম, তৃণমূল সহ অন্যান্য দলের নেতা কর্মীরা৷ এদিন প্রথমে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় দলের গঙ্গারামপুর কার্যালয়ে৷ সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতা কর্মীরা। পাশাপাশি নারায়ণ বাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন গঙ্গারামপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক গৌতম দাস,তৃণমূল নেতা মৃণাল সরকার সহ অন্যান্যরা। গঙ্গারামপুরে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর নারায়ণবাবুর মরদেহ নিয়ে বুনিয়াদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন দলীয় কর্মীরা৷ বুনিয়াদপুর থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই করা হয় তার দেহদান। প্রসঙ্গত জেলার বামপন্থী আন্দোলনের মুখ হিসেবে পরিচিতি ছিলেন গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা নারায়ণ বিশ্বাস।
দিল্লিতে INDIA জোটের বৈঠক কেউ জানায় নি- মমতা
নারায়ণ বাবু গঙ্গারামপুর থেকে ২০০১ ও ২০০৬ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।তিনি তিনটি দপ্তরের মন্ত্রিত্ব সামলেছেন।সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন সামলেছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদকের পদ৷ তবে দীর্ঘদিন ধরেই লিভার জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। গত কয়েক দিন আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় SSKM-এ।সেখানে চিকিৎসা চলছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর।চিকিৎসা চলাকালীন মঙ্গলবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন নারায়ণ বাবু ।
কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে জেলার রাজনৈতিক মহলে। বুধবার জেলার বালুরঘাট গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরে নারায়ণ বাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলীয় ও বিরোধী দলের শোকস্তব্ধ কর্মীরা৷ এবিষয়ে সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য চক্রবর্তী কী জানিয়েছেন শোনাব আপনাদের৷ পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গৌতম দাসও নারায়ণ বাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন৷অন্যদিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর নারায়ণবাবুর মরদেহ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “নারায়ণ বিশ্বাস দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। একাধিকবার রাজ্যের মন্ত্রীত্ব সামলেছেন। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন নারায়ণবাবু। মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএমে মৃত্যু হয় নারায়ণবাবুর। কলকাতায় তাঁর চক্ষু দান হয়েছে। আমরা নারায়ণবাবুর দেহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলাম।