
হরিশ্চন্দ্রপুর, ১৯ জুন : পারিবারিক বচসার জেরে স্ত্রীকে খুন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বামী। শনিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর এলাকায়।পুলিশ সূত্রে জানা জানা গেছে,মৃত গৃহবধূর নাম মিনু রবিদাস।
অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম জগজীবন রবিদাস। সে ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় বছর দুয়েক পূর্বে কাহালা লস্করপুরের বাসিন্দা ওই যুবতীর সাথে বিয়ে হয় জগ জীবনের তাদের বছর দেড়েকের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।অশান্তির জেরেই শনিবার সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রীর গলা কেটে খুন করে জগজীবন। এরপরেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে।যদিও মৃতার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, শ্বশুর দুখো রবিদাস প্রায়শই বৌমা মিনুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোর দিতেন। এমনকি নানাসময়ে জবরদস্তি পর্যন্ত করতেন। এনিয়ে ওই গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোরও করা হত বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ প্রসঙ্গে মৃতার দিদি কাজল রবিদাস জানান, বোনের সঙ্গে প্রায়ই ওর শ্বশুর ঝামেলা করতো। জবরদস্তি করারও চেষ্টা করত। এ ব্যাপারে বোন প্রতিবাদ জানায়। সে বোনকে কয়েকমাস নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন।এরপরেই সকালে বোনের মৃত্যুসংবাদ পান বলে জানতে পারেন তিনি।এদিন এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক শ্বশুর দুখো রবিদাস।এদিন সকালে ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভালুকা ফাঁড়ি ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আতাউর রহমান জানান, জগজীবন রবিদাস দীর্ঘদিন ধরে সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজ করছে। এদিন সে তার বউকে খুন করেছে। এমনকী তার বাবাও এই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুর ও স্বামীর কঠোর শাস্তির দাবী তুলেছেন প্রতিবেশি ও গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। পলাতক শ্বশুরের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
