নিজস্ব সংবাদদাতা , হেমতাবাদ , ১৬ অক্টোবর : উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হেমতাবাদের কাকরসিং এলাকার চন্ডীপূজা। ঠিক কতবছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিলো সেবিষয়ে সঠিক তথ্য নেই কারো কাছে। একটা সময় এই এলাকার পুরোটাই ছিল জঙ্গলাকীর্ণ। দেশভাগের পর এলাকার জমিদার স্থানীয়দের উপর পুজোর দ্বায়িত্ব দিয়ে যান। সেসময় থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুজো করে আসছেন।
এই মন্দিরের নামে কয়েকবিঘা জমি রয়েছে। সারাবছর চাষাবাদ করে যা আয় হয়, তা পুজোর জন্য ব্যায় করা হয়। এই মন্দিরের দেবী দুর্গা চতুর্ভূজা। দেবী এখানে উৎমাই চন্ডী নামেই খ্যাত। পুজোর চারদিন গ্রামবাসীরা নিরামিষ খান। অষ্টমীর সকালে ছাগ বলি হয় মন্দিরে। মনস্কামনা পূরণে দেবীর কাছে আসেন অসংখ্য ভক্ত। নবমীর দিন পুজো কমিটি নর-নারায়ন সেবার আয়োজন করেন। দশমীতে বিসর্জন রীতি শেষে গ্রামবাসীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। যদিও দেবীমূর্তির কোনো বিসর্জন হয় না এখানে। পুজোর সময় মন্দির প্রাঙ্গনে বসে বিরাট মেলা। শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা নয়, দক্ষিন দিনাজপুর, মালদা জেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্য থেকে পুজোর সময় বহু ভক্ত ভীড় জমান মন্দিরে। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এবারের পুজোয় জারী থাকছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। মন্দির কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, ” এবারে কেউ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে না। পরিবর্তে ব্যাবস্থা করা হচ্ছে জায়ান্ট স্ক্রীনের। এই স্ক্রীনে দেখানো ছবিতেই মায়ের পায়ে অঞ্জলী দেবেন ভক্তরা। বন্ধ রাখা হচ্ছে মেলাও।