নিজস্ব সংবাদদাতা , ইটাহার , ১৬ অক্টোবর : পুজোর বাকি মাত্র কয়েকদিন। অন্যান্য বছর রথযাত্রার পরের দিন খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শুরূ হয়ে যায় বাঙালির দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। ব্যস্ততা চরমে ওঠে পুজো উদ্যোক্তাদের। কিন্তু করোনার থাবায় এবছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। পুজোর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও ব্যস্ততা নেই পুজো উদ্দ্যোক্তাদের।
এবছর করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতির মুখে সর্বস্তরের মানুষ। লকডাউনের ফলে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে চারিদিকে। পুজো প্রস্তুতির খোঁজ খবর নিতে আর সি টিভি সংবাদের প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলো ইটাহারের জয়হাট অঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত চাকলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো প্রস্তুতিতে। ইটাহারেও জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুজোর। ইটাহারের দুর্গাপুজো কমিটিগুলোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইটাহার থানার জয়হাট অঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত চাকলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এবারে ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল তাদের পুজো। তবে দুর্গা পূজার প্রস্তুতির পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু মাঝি বাবার মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু করেছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা। এলাকার গৃহবধূ তালু কিস্কু জানিয়েছেন, সামনে দুর্গাপূজা ফলে মন্দিরের পাশে ধর্মীয় গুরু মাঝি বাবার থান পরিষ্কার করা হচ্ছে। দুর্গা পূজার দিন মাঝি বাবার থানে পূজা দিয়ে তারপর দুর্গাপূজা শুরু করবে চাকলা এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অপরদিকে পূজা কমিটির সদস্য মাঝি বাস্কে বলেন, এবছর করোনা আবহে বাজেট কমিয়ে পূজা ছোট করা হচ্ছে। শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে পুজো মণ্ডপে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান পেয়ে খুশি পুজো উদ্যোক্তারা। তবে এবছর করোনা আবহে ভিড় এড়াতে রাজ্য সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে পূজা করার পাশাপাশি সরকারি সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের পূজা মন্ডপে প্রবেশ করানো হবে।