নিউজ ডেস্কঃ শীতে খুস্কি হয়না, এমন কোন মানুষ নেই। আমরা প্রায় অনেকেই এই খুস্কিকে অবহেলা করি। যা একদমই উচিত নয়। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া ও অতিরিক্ত দূষণের কারণে খুশকি হয়। এর ফলে চুল পড়া, রুক্ষতা ও মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। শীতের সময় চুল ও মাথার ত্বক আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। অন্যথায় বাড়ে খুশকির প্রকোপ। বিশেষজ্ঞর মতে, “শুষ্ক মাথার ত্বকের অধিকারীদের খুশকির প্রবণতা বেশি। আর খুশকির সমস্যার কারণেই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে, যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত তারা ভালো মতো চুল পরিষ্কার করলে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।”
তাদের মতে, মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে নিয়মিত শ্যাম্পু করলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের কিছুটা বাড়তি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
নারিকেল তেলঃ চুলের যে কোনো সমস্যা দূর করতে নারিকেল তেল বেশ কাজে দেয়। রাসায়নিক উপাদান মুক্ত নারিকেল তেল খুশকির সমস্যা কমাতে ও মাথার ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর।
নিয়মঃ তেল হালকা গরম করে ভালো মতো মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং চুলের কূপ উন্মুক্ত হবে।
সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেল মালিশ করা উচিত। তেল মাথার ত্বকে প্রবেশ করবে ও চুলে পুষ্টি যোগাবে। তেল মালিশে অপুষ্ট চুল পুষ্টি পায় এবং পুষ্ট চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। মাথার ত্বকে মালিশ করা খুশকি দূর করতেও সহায়তা করে। আর খুশকি কমলে চুল পড়া অনেকটাই কমবে।
এছাড়াও নারিকেল তেলের সঙ্গে দুই চা-চামচ লেবুর রস যোগ করে মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুবারের বেশি লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়।
টক দইঃ খুশকির সমস্যায় বেশ কার্যকর। টক দই মাথার ত্বকে ভালোভাবে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো মতো ধুয়ে ফেলতে হবে। টক দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নেওয়া প্রয়োজন। এই প্যাক চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে। সপ্তাহে দুবার এই প্যাক ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।