নিউজ ডেস্ক, ১০ মে : নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার কী করবেন তা নিয়ে রীতিমতো ধোঁয়াশায় বিজেপি। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার ৪ সাংসদকে বিধানসভার ময়দানে নামিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির।
কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। আবার সামান্য ব্যবধানে হলেও তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন নিশীথ। পাশাপাশি শান্তিপুরে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথও ১৫,৮৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি-র ৭৭ জন বিধায়কের মধ্যে সিংহভাগই বিধানসভায় এসে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শপথ নেন নি নিশীথ ও জগন্নাথ। এনিয়ে ওই দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক কী করবেন তা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। কারণ বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর কোনও সাংসদ যদি বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে শপথ নিয়ে নেন তবে পরবর্তী দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিজেপি-র চিন্তা দুই সাংসদ বিধায়ক পদে শপথ নিলে তাদের লোকসভার আসন ছাড়তে হবে। আর সাংসদ পদ রেখে দিয়ে বিধায়ক পদ ছাড়লে দু’জন বিধায়ক কমে যাবে। কারণ, আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে নিশীথ ও জগন্নাথকে। কারণ, নিয়ম বলছে বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে হয়। আর যেই পদই তাঁরা ছাড়ুন তাতে উপনির্বাচন হবে। আর এই পরিস্থিতিতে নিশীথ ও জগন্নাথের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও অনেকটাই কঠিন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ চলতি লোকসভার মেয়াদ রয়েছে ৩ বছর। অন্য দিকে, চাইলে তাঁরা আগামী ৫ বছর বিধায়ক থাকতে পারবেন। লোকসভায় তাঁদের পর্যাপ্ত শক্তি রয়েছে। এই দু’জন বিধায়ক না থাকলে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় সাংসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে জয় পাওয়াও সহজ হবে না। একই ভাবে কোচবিহার ও রানাঘাট লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে জয় পাওয়াও খুব সহজ হবে কি না সেটাও মাথায় রাখতে হবে বিজেপি-কে। ফলে দলের সাংসদদের দাঁড় করিয়ে বিজেপি কী বিড়ম্বনায় পড়ল? উঠছে প্রশ্ন।