নিউজ ডেস্ক, ৮ এপ্রিল :বিশ্ব জুড়ে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। এরই মাঝে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার গবেষণালব্ধ করোনার টিকা তৈরি করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। সুত্রের খবর, সেই টিকার সরবরাহে দেরি করছে সংস্থা। সে কারণে পুনের এই সংস্থাকে আইনি নোটিস পাঠাল অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
আশঙ্কা অবশ্য গত মঙ্গলবারই প্রকাশ করেছিলেন সেরাম ইনস্টিটিউট সংস্থার প্রধান আদর পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “ভারত সরকার এই আইনি নোটিসের বিষয়ে বিস্তারিত জানে। এটি গোপন একটি নোটিস, এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। তবে সরকারের সাহায্যে আইনি জটিলতা কাটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতে সরবরাহের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণেই অন্য দেশে সরবরাহে দেরি হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। এখন মাসে তাঁর সংস্থা টিকার ৬ থেকে ৬.৫ কোটি ডোজ উৎপাদন করছে। ১০ কোটি ডোজ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে। ৬ কোটি ডোজ রপ্তানি করেছে। দেশে বর্তমান চাহিদা পূরণ করতে এই উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আর এই দেশ–বিদেশে টিকার চাহিদা মেটাতেই চাপে সেরাম ইনস্টিটিউট। আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সমস্যা এখানেই। কেন কোভিশিল্ড রপ্তানি করতে পারছে না তাঁরা, সেকথা বিদেশে বোঝানো সহজ নয়। বিদেশে এই টিকা অনেক বেশি দামে বিক্রিও হচ্ছে। । এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যদি উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয়, তাহলে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু ভারতে সরকারকে ভর্তুকিতে টিকা বিক্রি করতে হচ্ছে, দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। অন্য দিকে বিদেশে এই টিকা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। আদরের বক্তব্য, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই বিপুল বিনিয়োগ টিকা পিছু সামান্য লাভ করে জোগাড় করা সম্ভব নয়। সেই কারণে হয় ঋণ করতে হবে বা বড় কোনও বিনিয়োগকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই একমাত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।এখন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এর জন্য ৮৫ দিন সময় রয়েছে। পুনাওয়ালা এ নিয়ে সরকারকে ব্যাঙ্ক লোনে জন্য অনুরোধ করবেন। যদি সেরাম ইনস্টিটিউট তার ক্ষমতা বাড়াতে পারে, মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপন্ন করতে পারে তবে ভারতের অন্যান্য প্রস্তুতকারী সংস্থাও প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ডার বাড়াতে পারবে।