
চাঁচল, ২০ জুন : বৃষ্টির মধ্যে নর্দমা সাফাইয়ের নামে জেসিবি মেশিন দিয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠলো পঞ্চায়েতের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এদিন পরিষ্কার করার অজুহাতে নর্দমার উপরে থাকা বাড়িতে ও পাড়ায় ঢোকার কংক্রিটের পাটাতন ভেঙে দেওয়া হয়।
ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে বসার জায়গা। জেসিবির আঘাতে ফাটল বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে বলে অভিযোগ।পাশাপাশি কংক্রিটের পাটাতন রাস্তায় ফেলে রাখায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্যের পাশাপাশি তৃণমূলের এক নেতার মদতে এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসীরা। তবে মহকুমাশাসক ও পঞ্চায়েতের নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে বলে দাবী করেছেন তারা।স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল কর্মকার বলেন, বাড়ির সামনের পাটাতন, নিজের জায়গায় থাকা বসার কংক্রিটের পাটাতন সবই ভেঙে দিয়েছে। আঘাতে দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে। প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি যারা প্রশাসনের নামে মিথ্যে বলে এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ঘটনার প্রতিবাদ করায় কাজ বন্ধ করে জেসিবি মেশিন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, পঞ্চায়েত কিছুই জানে না। কাদের মদতে এসব হল তা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।যদিও কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভেঙ্গে গিয়েছে বলে দাবী পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মজিমুল হক রব্বানির।অন্যদিকে এবিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে দাবী করেছেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উত্পল তালুকদার।ওই সদস্যের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও পঞ্চায়েতের তরফে আলোচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উৎপলবাবু।চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কারা ওই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও দেখা হবে। দ্রুত যাতে রাস্তার জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে বলে জানান সঞ্জয় বাবু।
