আরসিটিভি সংবাদ –বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় একজন ব্যাংক ডাকাতির ব্যাংক ডাকাতি। ১৯৯৫ সালে দিনহাটার সাহেবগঞ্জ সেন্ট্রাল ব্যাংকে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের নাম ছিল। তিনি ধরা পড়ে বেশ কয়েকদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। বুধবার দিনহাটার শালমারাতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সুকুমার রায় কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন –হাসপাতালের এক্সরে মেশিন বিকল হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা
ভোটে দাঁড়াবার সময় যে এফিডেভিট দিতে হয় সে সময় তিনি এই ব্যাংক ডাকাতির কথা উল্লেখ করেননি, তা চেপে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাব।যদিও এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, বাম আমলে আমার বিরুদ্ধে পঞ্চাশটি মিথ্যে মামলা রয়েছে। এটা সেই মিথ্যে মামলারই একটি ।এদিনমন্ত্রী উদয়ন গুহ আরও বলেন, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিনহাটায় এসেছিলেন। দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। বলে গেলেন সততার কথা। অথচ তিনি যাদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেন তাদের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনার দোকানে চুরির আসামি, আর বিজেপির জেলা সভাপতি হলেন ব্যাংক ডাকাতির আসামি। ওদের মুখে সততার বুলি মানায় না।বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে বিজেপি করি। ১৯৯৩ সালে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম।
আরও পড়ুন –বিনোদন ক্ষেত্রে সাফল্য রায়গঞ্জে পৌরসভার!
১৯৯২ সালে তিন বিঘা আন্দোলনের সময় কমল গুহ হরতাল ডেকেছিলেন। সেই সময় উদয়নের পিতা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহ আমার কাছে অনেক সহযোগিতার পরামর্শ নিয়েছেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রমাণিককে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরেই রাতে বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর বাড়িঘর এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপরেই মঙ্গলবার দিনহাটায় ছুটে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই ঘটনার জন্য রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বিরুদ্ধে আজকে উদয়ন গুহের তোলা এই ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।