আরসিটিভি সংবাদ –রায়গঞ্জ শহরের সার্বিক উন্নয়ন সাধনে একের পর এক নানান উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনা গ্রহন করেছে রায়গঞ্জ পৌরসভা। শুধু পরিকল্পনা গ্রহনই নয় তার বাস্তবায়নেই নজির সৃষ্টি করেছে রায়গঞ্জ পৌরবোর্ড। নাগরিক পরিষেবায় রাজ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভা। শহরে যানজট নিয়ন্ত্রন থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাট, পানীয় জল, স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রেই পৌর পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট শহরবাসী। কোভিড পরিস্থিতিতে পৌরসভার সক্রিয় ভূমিকা বিশেষ মাত্রা লাভ করেছে।
আরও পড়ুন –রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিনা পারিশ্রমিকের পাঠশালা
এরই পাশাপাশি মানুষের বেঁচে থাকার অপর একটি রসদ বিনোদন। সে ক্ষেত্রেও দু হাত খুলে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে পৌরসভা। আপনারা সকলেই জানেন রায়গঞ্জ পৌরসভা শহরের সৌন্দর্য্যায়নের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একদিকে যেমন অন্ধকারকে দুরে ঠেলে উজ্জ্বল আলোর রোশনাই এনেছে তেমনি অন্যদিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন মনীষিদের মূর্তি। তবে এর মধ্যে শহরবাসীর বিনোদনের জন্য পৌরসভার বিশেষ উদ্যোগ অত্যাধুনিক পার্ক। শুধু মাত্র পূর্ব কলেজপাড়ার মিউনিসিপাল পার্কই নয়।
আরও পড়ুন –মন্দির ওখানেই থাকবে ?এবার বিকল্প কি !
পাশাপাশি দেবীনগরের বাঘাযতীন উদ্যান, কাশীবাটির বিনোদন পার্ককেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি শহরের ২ নং ও ১৯ এবং ২৩ নং ওয়ার্ডেও মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য গড়া হয়েছে সুসজ্জ্বিত পার্ক। যেখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য হল মিউনিসিপাল পার্কের লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম। যার সাথে সাযুজ্য রেখো তৈরী হয়েছে একসাথে ৫০০ জনের বসার উপযোগী গ্যালারি। এর পাশাপাশি প্রতিটি পার্কেই রয়েছে বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের উপযোগী দোলনা, স্লিপার, ঢেকি, টয়ট্রেন সহ আরও কত কি। পৌরসভার কল্যানে রায়গঞ্জ শহরে বিনোদন পার্ক পেয়ে বেজায় খুশী সাধারন মানুষ। বিকেল বেলায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে কিছুটা সময় পার্কে কাটাতে পেরে একদিকে যেমন বাচ্চাদের মন হালকা হয় তেমনি বড়রাও খানিকটা সকলের সাথে অবসর সময় কাটাতে পেরে আপ্লুত।
আরও পড়ুন –ইটের বিকল্প প্লাস্টিক? দূষন রুখতে অভিনব প্রয়াস রায়গঞ্জে
এই বিনোদন পার্কের ব্যবস্থাপনার জেরে সবচেয়ে খুশী বয়স্ক মানুষজন। তারা জানান, কাজকর্ম থেকে অবসর নেওয়ার পর সময় যেন কাটতে চায়না। সেখানে পাড়ায় বিনোদন পার্ক হওয়ায় সময় কাটানোর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধে হয়েছে।বাচ্চারাও খুব খুশী। বর্তমানে কংক্রিটের শহরে খোলামেলা জায়গা পাওয়া বড় মুশকিল। সেই পরিস্থিতিতে বিনোদন পার্ক পেয়ে পড়াশোনার ফাঁকে ছোটাছুটি করতে পেরে আনন্দিত তারা।
আরও পড়ুন –জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য মালদা সরকারী হাসপাতালের
শুধু রায়গঞ্জ শহরই নয়। আশেপাশের এলাকা থেকেও মানুষজন রায়গঞ্জ শহরে পার্কে ঘুরতে আসেন। রায়গঞ্জের মিউনিসিপ্যাল পার্কে বসে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন টুঙ্গিদিঘীর বাসিন্দা বীনা বিশ্বাস।অন্যদিকে শহরবাসীকে আনন্দ দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করলেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। নাগরিক পরিষেবায় পৌরসভার নানান কর্মকান্ডের কথাও তুলে ধরলেন তিনি।সবমিলিয়ে পৌরসভা যেভাবে একের পর এক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী দিনের জন্য শুধু আশা নয় প্রত্যাশায় বুক বাঁধছেন শহরবাসী তা বলাই বাহুল্য।