ইটাহার, ৪ জুন : উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটখোলা এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো দুর্বল বিপজ্জনক সেতু দিয়ে চলছে নদী পারাপার। মোটর বাইক থেকে ছোট যানবাহন সবই চলছে নির্দ্বিধায়। তবে আতংকিত গ্রামবাসীরা।
তাদের বক্তব্য ভারী যানবাহন চলাচল করলে যে কোন সময় ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনের উচিত সেতুটির অবিলম্বে সংষ্কার করা।ইটাহার ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পপঞ্চায়েতের হাটখোলা এলাকার বীণা নদীর ওপর এই সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরনো। হাটখোলা থেকে এই সেতুর রাস্তাটি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত সংযুক্ত। ফলে প্রতিদিন ভুটভুটি,ট্রেকার, মোটর বাইক, টোটো চলাচল করে এই দুর্বল সেতু দিয়ে। রেলিং ভাঙা ও পলেস্তারা খসে পড়া এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন বহু মানুষ। বর্তমানে বীণা নদীতে জলের পরিমাণ ভালই বেড়েছে। কিন্তু তাই বলে চলাচলে বিরাম নেই কারোরই। হাটের দিন প্রচন্ড ভিড় হয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের। এই সেতু দিয়ে মালপত্র নিয়ে হাটে কেনা বেচা করতে আসেন ব্যবসায়ীরা। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। সেতুটি মেরামত করার পাশাপাশি ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান তারা। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল হালদার জানিয়েছেন,” অবিলম্বে এই সেতুটি সংষ্কার করুক প্রশাসন। সেতুর রেলিং ভেঙে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনিতে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা আতংকিত।” হাট ব্যবসায়ী তরুণ মন্ডল বলেন,”সেতুটি সংষ্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত সেতুটি সংষ্কার করা হোক।” এদিকে ইটাহারের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত সরকার বলেন, সেতুটির অবস্থা জরাজীর্ণ। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য নতুন সেতু তৈরির দাবিতে একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে৷ কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কাজও অনেকটা এগিয়েও ছিল। কিন্তু অতিমারির জন্য সব কাজ বর্তমানে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।’