নিজস্ব সংবাদদাতা , চাঁচল , ৮ মে : আর কদিন পরেই রমজান শেষে পালিত হবে খুশীর ঈদ। কিন্তু রোজার মাসে আশানুরুপ বিক্রী না হওয়ায় মন ভালো নেই চাঁচলের ফল বিক্রেতাদের।প্রতিবছর রোজার মাসে নানান মরসুমী ফলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
ফলে বিক্রিবাট্টা সেরে বাড়তি দুপয়সা রোজগারের আশায় থাকেন ফল বিক্রেতারা। কিন্তু পরপর দুবছর যেন বিধি বাম। গত বছরের পর এবছর কোভিডের কারণে মার খেয়েছে ঈদ উপলক্ষে রোজার কেনাকাটা।অন্যান্যবার রমজান মাসের শেষে কেনাকাটার পরিমাণ বাড়লেও গত দুবছর ধরে তা অনেকটাই স্তিমিত। একে তো করোনার বাড়বাড়ন্ত আর অন্যদিকে অকাল বৃষ্টি। এই দুইয়ের সংযোগে মাথায় হাত পড়েছে ফল বিক্রেতাদের। তার ওপরে রাজ্যের ডাকা আংশিক লকডাউনে সময় হয়েছে অনেকটাই সঙ্কুচিত। সকালের দিকে দোকান খোলা হলেও সেভাবে দেখা মেলেনা ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিকেলে রোজা খোলার সময় হয়ে যাওয়ায় সেভাবে ক্রেতাসাধারণের দেখা পাওয়া যায়না।
ফলে নানাধরনের ফলের পসার নিয়ে বসলেও বিক্রীবাট্টা না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়িরা। এমনকী বিক্রি না হওয়ায় ফল পচে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ফলে বাড়তি আয়ের পরিবর্তে মূল টাকাটুকুই ফেরত পাবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ী।স্থানীয় এক ফল ব্যবসায়ী দুলাল শেখ জানিয়েছেন, সরকারী নির্দেশানুযায়ী সকাল ৭ টা থেকেই দোকান খুলে রাখা হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। অন্যদিকে বিকেলে ৫টা থেকে ৭টার সময়ে রোজা থাকার কারণে মানুষজন আসছে না।রোজার মাসে প্রথম দিকে ফলের চাহিদা থাকলেও করোনা আতঙ্কের ফলে মার খাচ্ছে ফলের ব্যবসা।সারি সারি ভাবে ফল সাজিয়ে রাখলে ক্রেতার দেখা নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দুলাল শেখ।