নিউজ ডেস্ক , ১৫ জানুয়ারী :পৌষ সংক্রান্তি মানেই পিঠে-পুলি আর ঘুড়ি। আজ বাংলার অনেক জায়গাতেই আকাশে রঙিন ঘুড়ি দাপিয়ে বেড়ায়। শহর থেকে গ্রামেগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি ওড়ানো প্রথা বহুদিনের। আকাশে ঘুড়ি আসলে আশা, খুশি, উল্লাস, স্বাধীনতা এবং শুভ সন্দেশের প্রতীক। মকর সংক্রান্তির শুভ দিনে তাই ঘুড়িই যেন খুশি ও স্বাধীনতার বার্তা বহন করে। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ মনে করে ঘুড়ি ওড়ালে নতুন ভাবনার উদয় হয়। এখন অবশ্য ব্যস্ততার যুগে অনেকেই আর সময় করে উঠতে পারেননা। তার উপর মোবাইল ফোন আর কম্পিউটারের গেমে আসক্ত হয়ে ঘুড়ি আর আকর্ষনের কেন্দ্রে নেই। তবুও বহু মানুষ পুরোনো ঐতিহ্যকে এখনও আঁকড়ে রয়েছেন। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সাথে সাতে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল রায়গঞ্জ শহরের শিল্পীনগরে। বুড়োবুড়ি মেলা নামে পরিচিত এই মেলায় আয়োজন করা হয় ঘুড়ি উৎসবের। যেখানে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ঘুড়ি উৎসবে। নতুন প্রজন্মের যুবক থেকে প্রবীনেরা অংশ নেয় এই ঘুড়ি উৎসবে। ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেওয়া নতুন প্রজন্মের যুবক ভোলা নট্ট বলেন, পৌষ সংক্রান্তির দিনে ছোটবেলায় বাবা কাকাদের হাত ধরে এই মেলায় এবং ঘুড়ি উৎসব আসতাম। তাঁরা ঘুড়ি ওড়াতেন, আমি দেখতাম। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই আমিও এসেছি এই বুড়োবড়ি মেলা ও ঘুড়ি উৎসবে অংশ নিতে। খুব আনন্দ উপভোগ করছি।পাশের পাড়া থেকে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে এসে অপর এক তরুন অরিন্দম মন্ডল বলেন, আজকের দিনে এই মেলা ও ঘুড়ি উৎসবে এসে ভীষন আনন্দ উপভোগ করছি।ঘুড়ি উৎসবে অন্যান্যদের সাথে অংশ নেওয়া প্রবীন বাসিন্দা বিশ্বনাথ বসাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ঘুড়ি উড়িয়ে আসছি। এই বুড়োবুড়ি মেলায় প্রতিবছরই আমি অংশ নেই। এবারেও পৌষ সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি উৎসবে এসেছি আনন্দ উপভোগ করতে।বুড়োবুড়ি মেলা ও ঘুড়ি উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা সুশান্ত মন্ডল বলেন, অতি প্রাচীন এই উৎসব। পৌষ সংক্রান্তির দিনে পুজোর পাশাপাশি মেলা ও ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। রায়গঞ্জের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেড়-দুশোর মতো মানুষ ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিয়েছেন
বুড়োবুড়ি মেলায় ঘুড়ি উৎসব
