নিউজ ডেস্ক , ০১ ডিসেম্বর : দিন কয়েক আগে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকারি পরিষেবা নিয়ে পৌছে যাবে প্রশাসনিক কর্তারা। শিবিরের মাধ্যমে ব্লকে ব্লকে খোলা হবে সেই দুয়ারে দুয়ারে সরকার নামক কর্মসূচি। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাস্তরের এই কর্মসূচির সূচনা করেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা।
রায়গঞ্জ ছাড়াও কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, ইসলামপুর, চাকুলিয়া সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মসূচি আয়োজিত হয়। এই উপলক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পরিষেবামূলক স্টল বা শিবির খোলা হয়েছে। এখান থেকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি পরিষেবা পেতে আবেদন জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সারা রাজ্যের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও শুরু হল দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এদিন রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া হাইস্কুলে এই কর্মসূচির সূচনা করেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা৷ এই কর্মসূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী এবার সরকার সাধারণ মানুষের দুয়ারে কড়া নাড়বে। তাই সকাল থেকেই উত্তর দিনাজপুরে এই কর্মসূচি শুরু হল। চলবে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। এই কর্মসূচি সফল করতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার শিবির খোলা হচ্ছে। কোনও নাগরিক যদি কোনও সরকারি পরিষেবা না-পেয়ে থাকেন তবে তাঁরা এই ক্যাম্পেই আবেদন করতে পারবেন। মূলত রাজ্যের মানুষের সমস্ত পরিষেবা ভালো করে প্রচার করা ও এর জন্য কী কী নথিপত্র দাখিল করতে হবে সেগুলি বুঝিয়ে দিতে শীর্ষ প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মীদের। ওই শিবিরেই যেমন যারা পরিষেবা পাননি তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
তেমনই অন্যান্যরা নিজেদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। রুপশ্রী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, তফশিল সার্টিফিকেট, সরকারি পেনশন, বিধবা বা বার্ধক্যভাতার নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে। তেমনই সম্ভব হলে চটজলদি নিষ্পত্তিতে উদ্যোগী হবেন প্রশাসনের কর্তারা। আরও জানানো হয়েছে, কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়ছে, কত অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে, তা দেখভালের জন্য তৈরি হয়েছে আধুনিক পরিকাঠামো। এদিন উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন ব্লকেই এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়৷ রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর সহ জেলার অন্যান্য প্রান্তে এই শিবিরের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়।