নিজস্ব সংবাদদাতা , রায়গঞ্জ , ৩০ সেপ্টেম্বর : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর এলাকাতে। বুধবার রামপুর পঞ্চায়েত দফতরে তালা লাগিয়ে দেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার৷ তার অভিযোগ, রাস্তাঘাট ও শশ্মানচুল্লি নির্মাণ নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি গৌতম সরকার সহ তার অনুগামীরা। অবিলম্বে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি।
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর পঞ্চায়েত দপ্তরে। বুধবার পঞ্চায়েত দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার ও তার অনুগামীরা৷ পাশাপাশি পঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে গ্রামীন রাস্তা রায়গঞ্জ বিন্দোল রাস্তা অবরোধও করেন তারা। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকারের অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম সরকার ও তার অনুগামীরা মিলে পঞ্চায়েত দফতরে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন। একটি রাস্তা এবং একটি শ্মশান চুল্লি নির্মাণ নিয়ে অতিরিক্ত বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। যেখানে তিন ও চার লাখ টাকা বিল হওয়ার কথা সেখানে ৫-৬ লাখ টাকা বিল তোলা হয়েছে। এই আর্থিক দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি গৌতম সরকার সহ অন্যান্য বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন তিনি।
এই ঘটনাকে ঘিরে কিছুদিন ধরেই চাপা উত্তেজনা চলছে। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত দপ্তরে এলে মলয় সরকারকে লোহার রড দিয়ে গৌতম সরকার ও তার দলবল মারধর করে বলে অভিযোগ। এঘটনায় বুধবার পঞ্চায়েত দফতরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। অবিলম্বে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলেন মলয় সরকার। জানা গেছে রামপুর পঞ্চায়েত দপ্তরটি বর্তমানে বিজেপির দখলে রয়েছে। এই পঞ্চায়েতের সদস্য গৌতম সরকারও। তিনি জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপির দখলে থাকায় কাজের বিল প্রধানই পাস করে থাকে। এক্ষেত্রে তার কোনো ভূমিকা নেই।