নিউজ ডেস্ক , ৬ মে : ভোট পেড়িয়ে ফলাফল ঘোষণা হলেও ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত রাজ্যে। হিংসার বলি প্রায় ১৬ জন। এবারে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এখনও পর্যন্ত হিংসায় মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেক তৃণমূল কর্মী রয়েছেন। বাকি অর্ধেক বিজেপি কর্মী ও এক জন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিজেপি হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা চাই না হিংসা হোক। মিটিং, মিছিল- রাজনৈতিক সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে উস্কানি দিচ্ছেন? দাঙ্গার প্ররোচনা দিচ্ছেন? আমি জানি না! অনুরোধ করব, দাঙ্গার প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করবেন না। যেখানে যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানে হিংসা বেশি হয়েছে। আর হয়েছে যেখানে আগে এসপি-ডিজি সব চেঞ্জ করে দিয়েছিল। নির্বাচনের পর এই ধরনের ঘটনা সবসময়ই ঘটে। সেটা যাতে না হয় প্রথম দিনই শান্তির বার্তা দিয়েছিলাম। সেলিব্রেশন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শুধু বলেছিলাম রবীন্দ্র জয়ন্তীতে ছোট ছোট প্রোগ্রাম করব। মা-মাটি-মাটি মানুষকে ধন্যবাদ দেব। কালচারাল প্রোগ্রাম হবে।” কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। বলেছিলেন, “যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।” আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট’ও গঠন করা হল।