নিউজ ডেস্ক,২ইফেব্রুয়ারিঃযানজট রায়গঞ্জ শহরের একটি নিত্য নৈমিত্তিক সমস্যা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যদিকে সংকীর্ন রাস্তা। তার উপরে বর্তমানে টোটোর বাড় বাড়ন্ত সব মিলিয়ে শহরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে কাল ঘাম ছোটে শহরবাসীর। অফিস টাইমে যথেষ্ট দূর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা, পুলিশ এবং প্রশাসন।
বেশ কিছু পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান রুপায়ন করতে বৃহস্পতিবার পৌরসসভা, পুলিশ, ট্রাফিক, প্রশাসন, বনিক সভা সম্মিলিত ভাবে একটি বৈঠকে বসে। দীর্ঘক্ষন চলে এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পৌরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার, মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি, রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী সহ পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক কর্তা। পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, মূলতঃ শহরে টোটোর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বার বার আলোকপাত করা হয় বৈঠকে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই কো-অর্ডিনেটরদের সহযোগীতায় একটি সার্ভে রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী শহরের ৯৯৭ জন টোটো চালক ও মালিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ পৌর এলাকায় টোটোর সংখ্যা ৯৯৭ টি। তাদের নিয়ে আগামী ৮ ও ৯ তারিখ বিধানমঞ্চে ২ টি ভাগে বৈঠক করা হবে। ৮ তারিখ বৈঠক হবে ১২ টি ওয়ার্ডের টোটো চালকদের নিয়ে। ৯ তারি বাকী ওয়ার্ড গুলির টোটো চালকরা থাবেন বৈঠকে। টোটো চিহ্নিত করন সহ টোটো চালানোর যাবতীয় নিয়ম কানুন তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। সাধারন মানুষের সুবিধের কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পৌরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস।
পৌরসভা ও পুলিশ-প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বনিক সভা। রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী বলেন, শহরে যানজট যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন তৎপরতার সাথে উদ্যোগ নিতে চলেছে। যাকে স্বাগত জানিয়েছেন অতনু বাবু। বনিকসভার পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।