রায়গঞ্জ শহরে একটি জ্বলন্ত সমস্যা হল যানজট। শহরে সকাল থেকে সন্ধ্যা ক্রমাগত যানজটের সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ। আর এই যানজটের অন্যতম প্রধান কারন হল অনিয়ন্ত্রিত টোটো চলাচল। অনেকেই মনে করেন শহরে মানুষের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে টোটোর সংখ্যা। এতে শুধু যানজট নয় ঘটছে দূর্ঘটনাও।
আচমকা নির্দিষ্ট একটি ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টে গ্যাস সংকট
এত টোটো চললে বাকী গাড়ি ঘোড়া চলবে কি করে এনিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অফিস টাইমে নাজেহাল অবস্থা তৈরী হয়। যানজটে আটকে পড়ে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও। এর থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। সম্প্রতি এনিয়ে বৈঠকও হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে কলার কোড মেনে চলাচল করবে টোটো।
কেনো জামিন হলো না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে কালার কোড চালু হবে। দু ধরনের কালার থাকবে সবুজ এবং নীল। ধাপে ধাপে একদিন চলবে সবুজ টোটো একদিন চলবে নীল টোটো। ফলে একদিকে টোটো চার্জের ব্যায়বার কমবে অন্যদিকে বাড়বে টোটোর চাহিদা। জগন্নাথ সরকার নামের এক টোটো চালক বলেন, কালার কোড হিসেবে একদিন পরপর টোটো চললে চরম আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। তাদের রুজি রোজগারে বড় প্রভাব পড়বে।
অতিরিক্ত চোলাই মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল একজনের
১৫ দিন তাদের বসে থাকতে হবে। তাদের সংসার চলবে কি করে? শ্যামসুন্দর গোস্বামী নামের অপর এক টোটো চালক বলেন, কালার কোডের বিষয়ে শুনেছেন তিনি। দুই কালারের টোটো ধাপে ধাপে চললে সমস্যা বাড়বে বৈকি।উত্তর দিনাজপুর টোটো কর্মী সংগঠনের সম্পাদক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তাতে টোটো চালকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা দরকার।